বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে ফেরার অনুমতি পেলেন সেই অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:১৭

দেশে ফিরতে না পেরে তালেবানের আশ্রয়ে থাকা সাংবাদিক বেলিস নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডে একটি কলাম লেখেন, এটা নির্মম পরিহাস। একসময় নারীর প্রতি তালেবানের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। এখন সেই প্রশ্ন নিজ দেশের সরকারকে করতে হচ্ছে।

অবশেষে নিউজিল্যান্ডে ফেরার অনুমতি পেলেন অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক চার্লট বেলিস। করোনার বিধিনিষেধের জন্য অনেক চেষ্টায়ও নিউজিল্যান্ড ফিরতে না পেরে আফগানিস্তানের তালেবানের আশ্রয়ে আছেন বেলিস।

বিষয়টি নিয়ে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক কলামে সম্প্রতি এই নারী সাংবাদিক লেখেন, তার দেশ তাকে ফিরতে দেয়নি। পরে তিনি তালেবানের সাহায্যপ্রার্থী হন। বর্তমান তিনি আফগানিস্তানে আছেন।

মতামতধর্মী কলামে নারী সাংবাদিক চার্লট বেলিস লেখেন, এটা নির্মম পরিহাস। একসময় নারীর প্রতি তালেবানের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। এখন সেই প্রশ্ন নিজ দেশের সরকারকে করতে হচ্ছে।

সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ফেরার জরুরি আকুতি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ৫৯টি নথি পাঠানো হলেও সব আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কলামটি নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসে নিউজিল্যান্ড সরকার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জানায়, বেলিসের কোয়ারেন্টিনের জায়গা ঠিক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ফেরানোর ফ্লাইটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার গ্র্যান্ট রবার্টসন বলেন, ‘বেলিসের জন্য নির্ধারিত স্থান তৈরি। আশা করছি শিগগিরই তিনি ফিরবেন।

‘আসলে কলাম প্রকাশের পর যে তাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা ভুল। এমন জরুরি বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব সময় গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।’

নিউজিল্যান্ড সরকারের দাবি, তারা বেলিসের ফেরার বিষয়ে দুইবার কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছিল।

আল জাজিরার হয়ে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের খবর সংগ্রহের সময় আলোচনায় আসেন চার্লট বেলিস।

হেরাল্ডের কলামে এই নারী সাংবাদিক লিখেছিলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাতারে ফিরে আসেন তিনি। সেখানে আমেরিকান ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার জিম হোলেব্রুয়েকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হন।

অন্তঃসত্ত্বা হওয়াকে অবশ্য অলৌকিক বলেছেন বেলিস। কারণ চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছিলেন, কোনো দিন মা হতে পারবেন না তিনি।

মা হওয়ার খবরটিতে উচ্ছ্বসিত হওয়ার পাশাপাশি এ সময় তাকে ঘিরে ধরে আরেক আতঙ্ক। মুসলিমপ্রধান দেশ কাতারে বিয়েবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক অবৈধ। তাই দেরি না করে নিউজিল্যান্ডে ফেরার চেষ্টা করেন।

নভেম্বরে আল জাজিরার চাকরি ছেড়ে দেন বেলিস। এরপর প্রেমিক জিমকে নিয়ে যান বেলজিয়ামে। আবাসিক অনুমতি না থাকায় সেখানেও থিতু হতে পারেননি তিনি।

এরপর বেলিসের সামনে আফগানিস্তানে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তিনি যোগাযোগ করেন তালেবান নেতাদের সঙ্গে।

তালেবান জানায়, আফগানিস্তানে তিনি নিরাপদে থাকবেন। তবে সবাইকে বলতে হবে তিনি বিবাহিত। কোনো সমস্যা হলে তাদের জানানোর কথাও বলেন তালেবান নেতারা।

কলামে বেলিস আরও লেখেন, আফগানিস্তানে গর্ভধারণ নিয়ে শঙ্কিত তিনি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা বেহাল। এই অবস্থায় আশা করছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন তিনি।

বেলিসের কলাম প্রকাশের পর নিউজিল্যান্ডের কোভিড রেসপন্স মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স হেরাল্ডকে জানিয়েছিলেন, ‘সাংবাদিক বেলিসের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

করোনার তাণ্ডবে বিশ্ব যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে অনেকটাই নিরাপদে নিউজিল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের সঠিক দিকনির্দেশনায় শনাক্ত ও মৃত্যুর হার এখনও নিয়ন্ত্রণে। বিদেশে থাকা নাগরিকরা নিউজিল্যান্ডে ফিরলে সেনা পরিচালিত হোটেলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যতামূলক নিয়ম করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর