বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি হস্তক্ষেপে কমেছে টুইটার অনুসারী, অভিযোগ রাহুলের

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৫৮

রাহুলের অভিযোগ, গত আগস্টে তার অনুসারীর সংখ্যা যখন অমিত শাহকেও ছাড়িয়ে যায়, তখনই টুইটার তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়। এর আগে তিনি কৃষক আন্দোলনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টুইট করেন।

গত আগস্টে কোনো কারণ না দেখিয়েই টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তার দাবি, ক্ষমতাসীন বিজেপির চাপেই এমন কাজ করেছে টুইটার।

রাহুল গান্ধী টুইটার সিইও পরাগ আগারওয়ালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের প্রথম ৭ মাস তার অনুসারীর সংখ্যা গড়ে ৪ লাখ করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু আগস্টে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট ৮ দিনের জন্য ব্লক করে দিলে তার অনুসারীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসে। অথচ এই সময় অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনুসারী ঠিকই বৃদ্ধি হয়েছে।

চিঠিতে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের টুইটার অ্যাকাউন্টের নমুনা দিয়েছেন।

রাহুলের অভিযোগ, গত আগস্টে তার অনুসারীর সংখ্যা যখন অমিত শাহকেও ছাড়িয়ে যায়, তখনই টুইটার তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়। এর আগে তিনি কৃষক আন্দোলনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টুইট করেন।

রাহুলের দাবি, যে ছবি পোস্ট করার কারণে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়, সেই একই ছবি আরও অনেকেই পোস্ট করেছেন। অথচ তাদের কিছুই হয়নি।

তার আরও সংযোজন, ‘আমি আগেও টুইটার ইন্ডিয়ার কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে সরকারের তরফে তাদের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করা হচ্ছে আমার কণ্ঠস্বর অবরুদ্ধ করার জন্য। বিনা কারণেই আমার অ্যাকাউন্টও কয়েক দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সরকারি অ্যাকাউন্টসহ একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছবিই পোস্ট করা হয়েছিল, কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করা হয়নি। শুধু আমার অ্যাকাউন্টকেই নিশানা বানানো হয়েছিল। আমি ১০০ কোটি ভারতীয়র হয়ে বলছি, ভারতের চিন্তাধারাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় তুরুপের তাস হবেন না।‘

টুইটারের মুখপাত্রকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, অনেক সময়ই টুইটারে ফলোয়ার্সের সংখ্যা কম-বেশি হয়ে থাকে, কারণ টুইটার স্প্যাম ও প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন অ্যাকাউন্টগুলোকে আটকাতে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

অন্যদিকে, টুইটারের নীতিভঙ্গের কারণেও প্রতি সপ্তাহেই লক্ষাধিক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ফলে ফলোয়ার্সের সংখ্যা কমে যেতেই পারে।

যদিও কংগ্রেসের তরফে এই ব্যাখ্যা খারিজ করে দেয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ডিজিটাল কমিউনিকেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রীবাস্তব জানান, এটা কখনোই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা হতে পারে না। টুইটার যে দাবি করছে, তার সঙ্গে অনুসারী কমার গতিবিধির মিল নেই।

এ বিভাগের আরো খবর