ইউক্রেন সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। যে কোনো সময় ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসতে পারে দেশটি- এমন আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করছে খোদ ইউক্রেন। আর ইউরোপে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা করছে পোল্যান্ড।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সৃষ্ট অস্থিরতা ও যুদ্ধের আশঙ্কা প্রভাব ফেলেছে ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে। হু হু করে দাম হারাচ্ছে কারেন্সিগুলো।
রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা যুদ্ধের মোড় নিতে পারে। পশ্চিমাদের সঙ্গে দুই ধাপে আলোচনা করার পরও কোনো সমাধান আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার বলেছে, কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। দূতাবাসের অনেক কর্মীকে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্যও। ন্যাটোর ধারণা, যে কোনো সময় আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে দাম বেড়েছে তেল ও ডলারের। কমেছে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দাম। তাই বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটছে।
ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বিবেচনায় ক্রমাগত দাম হারাচ্ছে বিটকয়েন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিটকয়েনের দাম কমেছে ৮.৮ শতাংশ। বর্তমানে কারেন্সিটির দাম ৩৩ হাজার ডলার। অথচ গত নভেম্বরেও এর দাম ছিল ৬৯ হাজার ডলার।
বিটকয়েনের দরপতনের আঘাত লেগেছে বাকি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোতেও। ক্রমাগত দাম হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠিত কারেন্সিগুলো।
দ্বিতীয়-বৃহৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথারিয়ামের দাম ১৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ২০২ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২৭ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। বাইনান্স কয়েনের দাম কমেছে ১২ শতাংশ।
ডজকয়েন, শিবা ইনু, ফ্লোকি ইনু, আকিতা ইনুর মতো মিম কয়েনগুলোও ক্রমাগত দাম হারাচ্ছে। ডজকয়েন, ফ্লোকি ইনু নিয়ে ইলন মাস্কের টুইটেও দামের খুব একটা হেরফের হয়নি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ও সাইড চেইনের প্ল্যাটফর্ম হরাইজনের প্রধান মার্ক এলেনোভিটস বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বিটকয়েনের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।’
তাই ইউক্রেন পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক না হলে বিটকয়েনসহ ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা কম।