বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূর্ব ইউরোপে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:২৮

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ সোমবার বলেছেন, ন্যাটো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এমনকি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমেও যুদ্ধসেনা মোতায়েন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। 

রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের চলমান উত্তেজনার জেরে পূর্ব ইউরোপে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো। পশ্চিমা নীতিনির্ধারকদের ধারণা যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটো জানিয়েছে তারা তাদের বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে এবং পূর্ব ইউরোপে বাড়তি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাড়তি সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ সোমবার বলেছেন, ন্যাটো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এমনকি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমেও যুদ্ধসেনা মোতায়েন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার কয়েক দফা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়া ইতিমধ্যে দেশটির সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে।

ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যদিও যুক্তরাজ্য ইউক্রেন রক্ষায় সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকোচ করে দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দাবি, গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত রাশিয়ার যোদ্ধাদের ৬০টি দল ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হয়েছে। যদিও রাশিয়া আগ্রাসনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।

এদিকে এই মুহূর্তে দেশটিতে প্রয়োজনীয় নয়, এমন কর্মীদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সেখানে বসবাসরত তাদের নাগরিকদের দেশ ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দূতাবাস খোলা থাকবে। হোয়াইট হাউস থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে।’

তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে দেশটির নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না।

ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তে রুশ সেনা জমায়াতের জবাবে হুঁশিয়ারি নয়, চলতি সপ্তাহে সরাসরি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়ান উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট ইউক্রেনিয়ান বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।

এ বিভাগের আরো খবর