কয়েক দিন ধরেই ওঠানামা চলছিল ভারতের শেয়ারবাজার। তবে সোমবার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) সূচক সেনসেক্স ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) সূচক নিফটিতে বড় ধরনের ধস নামে।
সোমবার বাজার খোলার সময় সেনসেক্স ৫৮ হাজার ৬১৯ পয়েন্টে ছিল। পরে পয়েন্ট হারিয়ে সূচক নেমে আসে ৫৭ হাজার ৮৪২-তে। অন্যদিকে নিফটি ৩৫৩ পয়েন্ট হারায়। এটি নেমে আসে ১৭ হাজার ২৫০ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহের শেষে বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ৪২৭ পয়েন্ট নেমে ৫৯ হাজার ৩৭-তে পৌঁছেছিল। ১৩৯ পয়েন্ট পতনের পর নিফটি ছিল ১৭ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে।
সপ্তাহের প্রথম দিনেই ভারতের শেয়ারবাজার থেকে মুছে গেছে লগ্নিকারীদের ৮ লাখ কোটি রুপির শেয়ারসম্পদ। গত শুক্রবারে বাজার মূলধন ছিল ২৭০ লাখ কোটি রুপি, যা সোমবার ২৬২ লাখ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজার কয়েক দিন ধরেই দুর্বল। এর প্রভাবেই ভারতের শেয়ারবাজারে এ নিয়ে পঞ্চম দিনের মতো ধস নামল। এশিয়ার শেয়ারবাজারও পতনের দিকে।
বিকেল পর্যন্ত রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল), ইনফোসিস, এইচডিএফসি ব্যাংক, বাজাজ ফাইন্যান্স, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক এবং টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) সেনসেক্সের সব শেয়ারবাজারে লাল চিহ্নে লেনদেন করছিল।
ছোট এবং মাঝারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ারেরও পতন হয়েছে সোমবার। প্রায় সব ধরনের শেয়ারের দামই পড়েছে।
বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন মাত্র ৪৫৬টি শেয়ার ছিল ঊর্ধ্বমুখী ও ৩ হাজার ৬৯টি নিম্নমুখী।
সেক্টরাল সূচকগুলোর মধ্যে নিফটি মেটাল সূচক হিন্দুস্তান কপার এবং জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। তবে এদিন সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে প্রযুক্তি খাতে। নিফটির আইটি সূচক ২ দশমিক ২২ শতাংশেরও বেশি নিচে নেমেছে।
জোমাটো, পেটিএম ও নিয়ের মতো প্রযুক্তি কোম্পানির ট্রেডিং সেশনে ক্ষতি হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এক্সিস ব্যাংক ও এইচডিএফসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে ৷
যদিও বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে ও কোম্পানির মুনাফা দেখে শেয়ার বেচাকেনা করতে নিষেধ করেছেন।
কারণ ২০২২-২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে বাজারগুলোয় আরও পতনের আশঙ্কা রয়েছে।