যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন আক্রমণের পরিনতি হবে খুবই ‘ধ্বংসাত্বক’ এবং ‘বেদনাদায়ক, হিংস্র ও রক্তাক্ত’।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে ইউক্রেন থেকে দূতাবাসের বেশকয়েকজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, পরিস্থিতি কিছুটা জটিল তবে এখনো যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়েছে। যদিও ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে রক্ষায় সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই যুক্তরাজ্যের।
যুক্তরাজ্য রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের খসড়া তৈরি করছে।
তবে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। যদিও দেশটি প্রায় এক লাখ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো করেছে।
জনসন দাবি করেন, গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত রাশিয়ার যোদ্ধাদের ৬০ টি দল ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ক্রেমলিনকে বলতে চাই, যেকোনো সামরিক আগ্রাসন হবে ধ্বংসাত্বক পদক্ষেপ।
এদিকে এই মুহূর্তে দেশটিতে প্রয়োজনীয় নয়, এমন কর্মীদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সেখানে বসবাসরত তাদের নাগরিকদের দেশ ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হচ্ছে।
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নাগরিকদের রাশিয়া ও ইউক্রেনে ভ্রমণ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দূতাবাস খোলা থাকবে। হোয়াইট হাউস থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে।’
তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে দেশটির নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না।
ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তে রুশ সেনা জমায়াতের জবাবে হুঁশিয়ারি নয়, চলতি সপ্তাহে সরাসরি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়ান উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট ইউক্রেনিয়ান বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।