বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:৪৬

কিয়ভে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুত সহায়তা এটি। তাদের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।  

ইউক্রেন ইস্যুতে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তে রুশ সেনা জমায়াতের জবাবে এবার হুঁশিয়ারি নয়, সরাসরি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রথম চালানে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়ভে প্রায় ৯০টন সামরিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে। এসবের মধ্যে আছে সম্মুখসারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেনের কিয়ভে সফরের পর এই সহযোগিতা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। সফরে ব্লিনকেন জানিয়েছিলেন, কিয়ভ আক্রান্ত হলে শক্ত জবাব দেবে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেন সংকট নিরসনে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই চালান পৌঁছায় কিয়ভে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছরের ডিসেম্বরে ইউক্রেনে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে প্রথম চালানটি ইউক্রেনে পৌঁছাল।

কিয়ভে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুত সহায়তা এটি। তাদের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

বিবৃতিতে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়ান উপত্যকা দখলে দেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট ইউক্রেনিয়ান বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।

২০১৫ সালে সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি কার্যকর হলে, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা জড় করা শুরু করে রাশিয়া। উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটো বলছে, সীমান্তে এখন এক লাখ রুশ সেনা অবস্থান করছে। তাদের উপস্থিতি ইউরোপে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ন্যাটো।

জবাবে মস্কো বলছে, কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা নেই তাদের। যদিও ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের বিষয়টিকে রাশিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ চাইছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর