সেলিনা রদ্রিগেজ। বয়স মাত্র ১১ বছর। এই বয়সে সেলিনা ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে প্রচণ্ড রকম আসক্ত হয়ে পড়ে। প্ল্যাটফর্ম দুটির কিছু ‘ভয়ংকর’ ফিচারে আসক্ত হয়ে গত বছরের জুলাইয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে সেলিনা।
সেলিনাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগে ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা।
যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট রাজ্যে ঘটেছে মামলার এ ঘটনা।
শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্রমবর্ধমান ভয়ের মধ্যেই মামলার খবরটি সামনে এসেছে।
স্যোশাল মিডিয়া ভিক্টিম ল সেন্টারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেলিনার মা ট্যামি তার শিশুসন্তানের আত্মহত্যার জন্য প্ল্যাটফর্ম দুটিতে ‘চরম’ আসক্তির কথা বলেছেন।
বিবিসির সংবাদে বলা হয়, সেলিনার মা দীর্ঘদিন থেকেই তার মেয়েকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার হাতে ডিভাইস দিতেন না বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় সেলিনা তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসা পেয়েছেন।
সেলিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে তাকে থেরাপি দিচ্ছিলেন যে চিকিৎসক, তিনি এর আগে কাউকে তিনি মাধ্যমে এত আসক্ত দেখেননি বলে দাবি করেন।
২০২১ সালের ২১ জুলাই সেলিনা আত্মহত্যা করার আগে ঘুমের অভাব ও বিষণ্ণতায় ভুগছিল।
তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার আসক্তি মূলত বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে।
মামলার অভিযোগের মধ্যে ছিল, সেলিনাকে যৌন শোষণমূলক সামগ্রীর অনুরোধ করা হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত সে শেয়ার করেছিল।
স্ন্যাপচ্যাটের মুখপাত্র সেলিনার মৃত্যুর বিষয়টিকে ‘বিধ্বস্ত’ হিসেবে বর্ণনা করলেও মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কমিউনিটির মানুষের সুস্থতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই।’
অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা বিষয়টি নিয়ে বিবিসির প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে।