বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কির টুইট

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৫১

প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না এবং পূর্ব ইউরোপে কোনো ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড চালানো যাবে না।

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে ন্যাটো ও রাশিয়ার বিরোধ তুঙ্গে। দফায় দফায় আলোচনা হলেও হচ্ছে না মীমাংসা। বিরোধের মধ্যেই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে টুইট করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে সম্প্রতি বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ক্ষুদ্র কোনো আক্রমণের জবাব ক্ষুদ্রই হবে।

মূলত এই মন্তব্যেরই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ক্ষুদ্র অনুপ্রবেশ বলে কিছু হয় না, ঠিক যেমনটি প্রিয়জন হারানোর ক্ষেত্রে অল্প শোক কিংবা অল্প ক্ষয়ক্ষতি বলে কিছু হয় না।’

যদিও রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। তবে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো ধরনের আগ্রাসনের পরিকল্পনা তাদের নেই।

প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না এবং পূর্ব ইউরোপে কোনো ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড চালানো যাবে না।

বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন দখল করলে পুতিনকে বড় ধরনের মূল্য চোকাতে হবে। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করছে রাশিয়া এই বিষয়ে ঠিক কতটুকু পদক্ষেপ নেয় তার ওপর।

এর আগে ইউক্রেন ইস্যুতে হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই ব্যাখ্যা দিয়েছিল রাশিয়া। কারণ বিরোধের মৌলিক ইস্যুগুলোতে দুই পক্ষ একমত হতে পারেনি।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে জেনেভা ও ব্রাসেলসে হয়ে যাওয়া আলোচনায় কিছুটা ইতিবাচক লক্ষণ পাওয়া গেলেও রাশিয়া মূলত চায় টেকসই সমাধান। যা এই আলোচনা থেকে আসেনি।

মূলত ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত। বেশ কয়েকবার পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করে কূটনৈতিকভাবে সমাধান খোঁজা ও আন্তর্জাতিক আইন মান্য করার জন্য বলে আসছে।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, দেশটির সীমান্তে প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের দেশে হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা।

তবে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন আক্রমণের কোনো লক্ষ্য নেই দেশটির।

রাশিয়া বলে আসছে, নিজ দেশের এলাকায় সেনা মোতায়েনের অধিকার তার রয়েছে।

তবে এ আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় যুদ্ধের আশঙ্কা করছে পোল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেউস মোরাওয়েক্কি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

তবে রাশিয়া বরাবরই ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে। দেশটি জানিয়েছে তাদের সীমান্তের পূর্বদিকে ন্যাটোর যেকোনো তৎপরতা তারা মেনে নেবে না।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের রেডলাইন ক্রস না করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেনকে সতর্ক করেছিলেন।

২০১৪ সালে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। পরে তা নিজ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় রুশপন্থিদের সঙ্গে ইউক্রেনের লড়াই চলছে। পুতিন অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী রুশপন্থিদের ওপর নির্যাতন করছে।

এ বিভাগের আরো খবর