ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির জনগণের ওপর বিতর্কিত হ্যাকিং প্রযুক্তি পেগাসাস ব্যবহার করছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট দেশটির পুলিশের কাছে পেগাসাস ব্যবহারের ব্যাখ্যা চেয়েছে।
এর আগে কোনো সূত্র উল্লেখ না করে ক্যাটালিস্ট ফিন্যান্সিয়াল ডেইলির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসরায়েলি পুলিশ এনএসও গ্রুপের বানানো স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, প্রায়ই পুলিশ কোর্টের অনুমতি ছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর নজরদারির ক্ষেত্রে পেগাসাস ব্যবহার করেছে।
ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সদস্য মেইরাভ বেন আরি জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহেই নাগরিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির মুখোমুখি হবে পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ক্যাটালিস্টের প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।
বেন আরি আরও জানিয়েছেন, অনেক পার্লামেন্ট সদস্যই উদ্বেগের কথা আমাকে জানিয়েছেন। ঘটনাটি খুবই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্পষ্টতই এই ঘটনা ব্যক্তির গোপনীয়তা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের লঙ্ঘন।
ক্যাটালিস্টের প্রতিবেদনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার কোবি সাবটাই বলেন, পুলিশ থার্ড পার্টি সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে তিনি পেগাসাস ব্যবহারের বিষয়ে কিছু বলেননি।
তবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্পাইওয়্যার প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কোবি।
এ বিষয়ে এনএসওর কাছে জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে জানিয়েছে, ক্লায়েন্টের তথ্য তারা প্রকাশ করে না। কোনো সরকার বা সংস্থার কাছে প্রযুক্তি বিক্রির পর তারা সেখানে কোনোভাবেই সেখানকার এক্সেস আর তাদের হাতে থাকে না।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৩ সাল থেকে পেগাসাস যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় রয়েছে।