বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা পণ্য বেচাকেনার প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট সম্ভবত ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ননফাঞ্জিবল টোকেনে (এনএফটি) প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কিছু ট্রেডমার্ক ডকুমেন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ব্লকচেইনের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো টোকেন নিয়ে আসবে না। সরাসরি বিটকয়েন ও ইথারিয়ামের মতো নিজস্ব ব্লকচেইনের ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আসবে।
যদি সত্যিই ওয়ালমার্ট ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলন শুরু করে, তাহলে মূলধারার কোম্পানিগুলোতে ক্রিপ্টো এডোপটেশন অনেকটা চূড়া থেকেই শুরু হবে।
সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ালমার্ট মোট ৭টি ট্রেডমার্ক নিয়েছে। এ ট্রেডমার্ক আবেদনপত্রগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে ক্রিপ্টোর পাশাপাশি খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি ভার্চুয়াল পণ্য হিসেবে অনলাইনে ননফাঞ্জিবল টোকেন বেচাকেনা শুরু করবে। যা তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কিনতে হবে। এ ছাড়া ওয়ালমার্ট বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোনির্ভর ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসও চালু করতে যাচ্ছে। যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল টোকেন লেনদেন করা যাবে।
শুধু ক্রিপ্টো নয়, মেটাভার্সের জগতেও প্রবেশ করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য ফিটনেস অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আসছে।
যদিও এসব পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছুই প্রকাশ করেনি ওয়ালমার্ট।
প্রতিষ্ঠানটি সব সময় নতুনত্বকে গ্রহণ করে আসছে। তাই বিকাশমান প্রযুক্তি হিসেবে ব্লকচেইনকে ব্যবহার করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু নিজেরাই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আসছে, তার মানে এটি খুব সম্ভব যে ওয়ালমার্ট তার স্টোরগুলোতে কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিটকয়েন অনুমোদন দিতে পারে।
শুধু ক্রিপ্টো নয়, কোম্পানিটি মেটাভার্সের জগতেও প্রবেশ করছে। তারা অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য একটি ফিটনেস অ্যাপ নিয়ে আসছে।