বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেড় শ বছরে ষষ্ঠ উষ্ণতম ২০২১: নোয়া

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:২০

ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বিংশ শতাব্দীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে ০.৮৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

দেড় শ বছরে পৃথিবীর ষষ্ঠ উষ্ণতম ছিল ২০২১ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসা ও দেশটির ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নোয়া বৃহস্পতিবার তাদের বৈশ্বিক তাপমাত্রা গণনার রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

নোয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, উষ্ণতম বছরের তালিকায় ২০১৬ ও ২০২০ সালের পরই ২০২১ সালের অবস্থান।

সংস্থা দুটির বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উষ্ণায়ন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পুরো বিশ্বেই গত দশক ধরে উষ্ণতা বেড়েছে। এ বছরগুলোর মধ্যে উষ্ণতম ছিল ২০১৬ ও ২০২০ সাল। তবে উষ্ণতার নিরিখে এর পরই ছিল ২০২১।

২০১৫ সালে প্যারিসে ১৯০টি দেশের নেতারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার কথা বলেন। কিন্তু গত বছরই ইউরোপে গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল ও কানাডায় তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আগস্টে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বেশিরভাগ এলাকা দাবানলে পুড়েছে। প্রাণ গেছে শত শত মানুষের।

নোয়ার পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বিংশ শতাব্দীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে ০.৮৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১.৫১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি ছিল।

আন্তর্জাতিকভাবে সব দেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রার হিসাব রাখা শুরু হয় ১৮৮০ সালে। এই হিসাব অনুযায়ী নাসা জানায়, গত ১৪১ বছরের ইতিহাসে ২০২১ ও ২০১৮ সাল ছিল উষ্ণতার দিক থেকে ষষ্ঠ।

জলবায়ু গবেষণা সংস্থা বার্কলে আর্থ বৃহস্পতিবার তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সে প্রতিবেদনেও বলা হয় ২০১৮ ও ২০১৫ সালের সঙ্গে ষষ্ঠ উষ্ণতম বছর ছিল ২০২১।

তবে নোয়ার দাবি, উষ্ণতার দিক থেকে এককভাবে ২০২১ সাল ষষ্ঠ স্থানটির দাবিদার।

এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা দ্য কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস জানায়, গত সাত বছর ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। এ তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে ছিল ২০২১ সাল।

নাসা ও নোয়া জানায়, উষ্ণায়নের জন্য গত এক বা দুই দশকে উদ্বেগজনকভাবে শুধুই ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে তা নয়, সে সঙ্গে বেড়েছে মহাসাগরগুলোর পানির উপরিতলের তাপমাত্রাও। ফলে অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডের বরফ আরও দ্রুত গলছে। সমুদ্রের পানির স্তরও উপরে উঠে আসছে আশঙ্কাজনকভাবে।

নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের পরিচালক ও এজেন্সির প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী গ্যাভিন স্মিথ। তিনি বলেন, গত আট বছরই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ।

নোয়ার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ রাসেল হোস বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২০২২ সালটির দশম উষ্ণতম বছর হয়ে ওঠার আশঙ্কা ৯৯ শতাংশ। আর গত দেড় শ বছরের ইতিহাসে এ বছর সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কা ১০ শতাংশ।’

এ বিভাগের আরো খবর