উত্তর ভারতের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে বহমান শৈত্যপ্রবাহে। অনেক রাজ্যে পাহাড়ে চলছে তুষারপাত, বাদ নেই বৃষ্টি। কাশ্মীরের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে প্রায় এক সপ্তাহ। এ ছাড়া দিল্লিসহ উত্তর ভারতজুড়ে বইছে হিমশীতল ঠান্ডা হাওয়া।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, রাজস্থান, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় আগামী দুই দিন ঘন কুয়াশার আভাস আছে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে আগামী তিন দিন এবং উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে আগামী পাঁচ দিন ঘন কুয়াশা দেখা যাবে। এ ছাড়া দুই দিনের মধ্যে পশ্চিম-উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের বিচ্ছিন্ন অংশগুলোয় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কেরালায় হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে সেখানে। তীব্র শীতে মানুষকে রক্ষায় দিল্লির অনেক জায়গায় রাত্রিকালীন আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
লোধি রোড এলাকার নৈশ আশ্রয়কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মনোজ কুমার জয়সওয়াল বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত কম্বল রাখা হয়েছে। মানুষকে তিন বেলা খাবার দেয়া হচ্ছে। করোনার কারণে নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপও করা হচ্ছে।’
এ সময়ে দিল্লির বাতাসের মানে উন্নতি হয়নি। শনিবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩৩৯ রেকর্ড করা হয়। বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
কাশ্মীরে তীব্র শীতের প্রকোপ অব্যাহত আছে। চলছে তাপমাত্রার পতন। শুক্রবার রাত থেকে উপত্যকার বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে। শুধু উত্তর কাশ্মীরের গুলমার্গ রিসোর্টে আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে। সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা আগের দিন ছিল মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে গুলমার্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম ছিল।