যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপে এক নারীকে চীন নিয়োগ দিয়েছে বলে ব্রিটিশ এমপিদের সতর্ক করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-ফাইভ।
এমআই-ফাইভ বলছে, চীনা বংশদ্ভূত ব্রিটিশ ওই নারীর নাম ক্রিস্টিন কুই লি। তিনি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে কাজ করছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল লন্ডন সময় বৃহস্পতিবার এমপিদের কাছে গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা পৌঁছে দেন।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্রিটিশ এমপিদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন লি। এই অর্থ আসছে হংকং ও চীনের নাগরিকদের কাছ থেকে, যারা বিভিন্ন দেশে বাস করছেন।’
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন লেবার পার্টির এমপি বেরি গার্ডিনার। বলা হচ্ছে, ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ নিয়েছেন গার্ডিনার।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, ‘অভিযোগ গুরুতর। কেউ একজন জেনেবুঝে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে আমাদের পার্লামেন্টে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে। কারা এই চক্রান্তে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’
এসব অস্বীকার করেছে বেইজিং। তারা বলছে, এই অভিযোগ মারাত্মক। যুক্তরাজ্যে চীনা নাগরিকদের অপমান ও ভয় দেখাতে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
লন্ডনে চীন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে চলে চীন।’
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘বিদেশি পার্লামেন্টে প্রভাব খাটানোর কোনো ইচ্ছাই নেই চীনের। আর এর প্রয়োজনও নেই। যুক্তরাজ্যে চীনা কমিউনিটিকে হেয় করার এই অপচেষ্টার নিন্দা জানাচ্ছি।’
ক্রিস্টিন কুই লি। ছবি: সিএনএন
ব্রিটিশ সরকারের তথ্য বলছে, লন্ডন ও বার্মিংহামে আইনি প্রতিষ্ঠান আছে লির। এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার লন্ডনে লির কার্যালয়ে পৌঁছায় সিএনএন। কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরেই এই কার্যালয় বন্ধ আছে। দরজায় লেখা, ‘মহামারির কারণে কার্যক্রম আপাতত বন্ধ আছে।’
সেই নোটিশের নিচে দেয়া নম্বর ও ই-মেইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সিএনএন।