৪৭-এ শুধু ভারত-পাকিস্তানই ভাগ হয়নি, ভাগ হয়েছে অগুনতি পরিবার। দেশের এই সীমারেখা যেন তাদের হৃদয়ের ওপর দিয়ে অঙ্কিত হয়েছে। সীমান্তের পরিবারগুলোতে এনেছে বিচ্ছেদের ক্রন্দন। এবার সেই সীমান্তে বইল মিলনের আনন্দ অশ্রু।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ মিলনের গল্প মূলত দুই ভাই সিদ্দিক ও হাবিবের। সিদ্দিক পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে থাকেন। আর হাবিব থাকেন ভারতের পাঞ্জাবে।
এ দুই ভাইয়েরই দেখা হলো ৭৪ বছর পরে। পাঞ্জাবের কার্তারপুর সীমান্তে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় তাদের কান্না যেন আনন্দের কান্না। এতদিনে হয়তো তারা দেখা হওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।
দেশভাগের সময় সিদ্দিক তখন খুবই ছোট। মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল তার। বড় ভাই হাবিবের বয়স ছিল ৬ বছর। সিদ্দিক পাকিস্তানে বড় হতে থাকে। আর বাবার সঙ্গে ভারতে বড় হতে থাকে বড় ভাই হাবিব। তাই তো সাক্ষাতে তারা শৈশবের আলাপই করেছেন সারাক্ষণ ধরে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও অনেক নেটিজেনের চোখেও অশ্রু ঝরিয়েছে। তারা এমন উদ্যোগের প্রশংসাও করছেন।
এ সময় হাবিব তাকে ভিসা ছাড়াই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়ায় পাকিস্তান সরকারের প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে দুই ভাই আবারও দেখা করবেন বলে জানান।
ভারত সরকার ২০১৯ সালে পাঞ্জাবের কার্তারপুর করিডর চালু করেন। এরপর থেকেই এই জায়গাটা হয়ে যায় দুই পাড়ে আলাদা হয়ে যাওয়া স্বজনদের মিলনমেলার স্থান। সেখানেই দুই ভাইয়ের মিলন আবার হয়তো সৃষ্টি করেছে শান্তির সম্ভাবনা।