বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ: রাশিয়া

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪৯

তবে এ আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় যুদ্ধের আশঙ্কা করছে পোল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেউস মোরাওয়েক্কি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই ব্যাখ্যা দিয়েছে রাশিয়া। কারণ বিরোধের মৌলিক ইস্যুগুলোতে দুপক্ষ একমত হতে পারেনি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে জেনেভা ও ব্রাসেলসে হয়ে যাওয়া আলোচনায় কিছুটা ইতিবাচক লক্ষণ পাওয়া গেলেও রাশিয়া মূলত চায় টেকসই সমাধান। যা এই আলোচনা থেকে আসেনি।

মূলত ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত। বেশ কয়েকবার পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করে কূটনৈতিকভাবে সমাধান খোঁজা ও আন্তর্জাতিক আইন মান্য করার জন্য বলে আসছে।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, দেশটির সীমান্তে প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের দেশে হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা।

তবে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন আক্রমনের কোনো লক্ষ্য নেই দেশটির।

রাশিয়া বলে আসছে, নিজ দেশের এলাকায় সেনা মোতায়েনের অধিকার তার রয়েছে।

ন্যাটোর কাছে দেশটির দাবি হলো, ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না এবং রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

তবে এ আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় যুদ্ধের আশঙ্কা করছে পোল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেউস মোরাওয়েক্কি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

ইউক্রেন ইস্যুতে ইতিমধ্যে বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের দুই দফা আলোচনা হয়ে গেছে। ইউক্রেনে হামলা করলে রাশিয়াকে এমন অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে, যা তারা কখনোই দেখেনি।

তবে রাশিয়া বরাবরই ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে। দেশটি জানিয়েছে তাদের সীমান্তের পূর্বদিকে ন্যাটোর যেকোনো তৎপরতা তারা মেনে নেবে না।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের রেডলাইন ক্রস না করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেনকে সতর্ক করেছিলেন।

২০১৪ সালে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। পরে তা নিজ দেশের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় রুশপন্থিদের সঙ্গে ইউক্রেনের লড়াই চলছে। পুতিন অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী রুশপন্থিদের ওপর নির্যাতন করছে।

এ বিভাগের আরো খবর