ব্লকচেইন প্রযুক্তিনির্ভর ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলোচনা বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির মার্কেট ক্যাপিং ২ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। অনলাইনেও এসেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনার অনেক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন।
এবার ফরচুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনার অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে চীনা-কানাডীয় উদ্যোক্তা চাংপেং ঝাও এখন ৯৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক। বর্তমানে তিনি বিশ্বের ১১তম শীর্ষ ধনী।
চাংপেং ঝাওয়ের বানানো ক্রিপ্টো বেচাকেনার সাইটের নাম ‘বিন্যান্স’।
ব্যক্তিগতভাবে আমি অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত একজন মানুষ। আমার খুব বেশি অর্থের দরকার নাই। আমি অল্পতেই আমার জীবনধারা বজায় রাখতে পারি। রকফেলার থেকে শুরু করে অন্য অনেক উদ্যোক্তার মতো আমিও আমার সম্পদের অধিকাংশই দান করে দেব। আমার ইচ্ছে ৯০, ৯৫ বা ৯৯ শতাংশ সম্পদ দান করে দেয়া।
অর্থের দিক থেকে ঝাও ইতিমধ্যে পেছনে ফেলেছেন ভারতীয় কংলোমরেট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সিইও মুকেশ আম্বানিকে।
তার অর্থসম্পদের হিসাব সামনে আনা ব্লুমবার্গ বলছে, ঝাওয়ের অর্থ ৯৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কারণ তার মালিকানায় থাকা বিটকয়েন ও বিন্যান্স কয়েনের পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি।
তবে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে চাংপেং ঝাও বলেন, তার সম্পদের অধিকাংশই মজুতকৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি।
তার এই দাবি সত্য হলে সম্পদের দিক থেকে তিনি মার্ক জুকারবার্গ, বিল গেটসের মতো ব্যক্তিকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
বিশ্বব্যাপী চালু থাকা সব ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনার সাইটের মধ্যে ঝাওয়ের বিন্যান্সই সবচেয়ে বড়। বিন্যান্সের কোনো কার্যালয় নেই। এটি সব কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করে। বিন্যান্স তার আর্থিক বিষয়াদি কখনোই প্রকাশ্যে আনে না।
তবে ঝাও জানিয়েছেন, তার সম্পদের অধিকাংশই তিনি দান করে দেবেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত একজন মানুষ। আমার খুব বেশি অর্থের দরকার নাই। আমি অল্পতেই আমার জীবনধারা বজায় রাখতে পারি। রকফেলার থেকে শুরু করে অন্য অনেক উদ্যোক্তার মতো আমিও আমার সম্পদের অধিকাংশই দান করে দেব। আমার ইচ্ছে ৯০, ৯৫ বা ৯৯ শতাংশ সম্পদ দান করে দেয়া।’