বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্তর্দ্বন্দ্বে বেসামাল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:২৯

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিদ্রোহ আর ক্ষোভে ফুঁসছে বাদ পড়া নেতা ও গোষ্ঠী। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসামাল নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সমস্যা এতটাই গভীরে, প্রয়োজন পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ লেগেছে দিল্লিতে। সমস্যা সমাধানে শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অন্যতম মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর তাদের দাবি তুলে ধরতে দিল্লি যাচ্ছেন।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিদ্রোহ আর ক্ষোভে ফুঁসছে বাদ পড়া নেতা ও গোষ্ঠী। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসামাল নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সমস্যা এতটাই গভীরে, প্রয়োজন পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের।

করোনা পরিস্থিতির জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পশ্চিমবঙ্গে আসা স্থগিত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষুব্ধ বিদ্রোহী কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী, বনগাঁর বিধায়ক শান্তনু ঠাকুর সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন।

শান্তনু ঠাকুর এতটাই ক্ষুব্ধ যে এর আগে তিনি বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। বলেন, ‘বিজেপির আমাদের নিষ্প্রয়োজন। আমাদেরও বিজেপির প্রয়োজন নেই।’ এরপর জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করেন পরিস্থিতি সামাল দিতে।

শান্তনুর আগে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন আরো পাঁচজন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক, যারা শান্তনুর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

এদিকে রোববার ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর চার নেতা সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রিতেশ তেওয়ারি ও সমীরণ সাহা। বিগত পাঁচ বছরে রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন বসু। তিনিও কমিটি থেকে বাদ পড়ায় বিজেপি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। নতুন রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পাওয়ায় রিতেশ, জয়প্রকাশ, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।

বিজেপির এই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী এর আগেও বৈঠক করেছে। রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে যদিও এ ধরনের বৈঠককে গুরুত্ব না দিয়ে নেহাতই চায়ের আড্ডা বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিনেতা হিরণও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। রোববার বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহসভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাও বিজেপির একাধিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করেন। ফলে দিকে দিকে বিজেপির সম্পর্ক ত্যাগ আর বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর রুদ্ধদ্বার বৈঠককে আর নেহাত চায়ের আড্ডা বলা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর রোববারের বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তবে জানা গেছে, দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের সম্মানজনক প্রতিনিধিত্ব, অমিত মালব্য ও অমিতাভ চক্রবর্তীসহ বনগাঁর জেলা সভাপতিকে তাদের পদ থেকে সরানোর দাবি শান্তনু তুলে ধরবেন শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে।

এ বিভাগের আরো খবর