বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চোখের সামনে মৃত্যু দেখে এলেন সামিনা

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৩৩

সামিনা বলেন, ‘আমরা শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আমাদের সাহায্য করতে; বলছিলাম, আমরা যেন তুষারপাতে মারা না যাই।’

আনন্দযাত্রা যে এমন ভয়াবহ ঘটনায় রূপ নেবে, তা কল্পনাও করতে পারছিলেন না সামিনা। চোখের সামনে মৃত্যু দেখে ফিরে এসেছেন তিনি।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মারি এলাকায় শুক্রবার ভারী তুষারপাতে গাড়ি আটকা পড়ে ঠান্ডায় জমে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ শিশুসহ ২২ পর্যটক। এ ঘটনার সময় আটকে থাকা একটি গাড়িতে ছিলেন সামিনা।

কী ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন এই নারী পর্যটক, তারই বর্ণনা দিয়েছেন বিবিসির কাছে।

তার কথায়, ‘চোখের সামনে মৃত্যু দেখে এলাম। গাড়ির চারপাশে তুষারের চূড়া তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’

সামিনা বলেন, ‘আমরা শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আমাদের সাহায্য করতে; বলছিলাম, আমরা যেন তুষারপাতে মারা না যাই।’

বার্তা সংস্থা এএফপিকে মারির পার্শ্ববর্তী শহর নাথিয়াগালির কর্মকর্তা তারিক উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ ফুট পর্যন্ত তুষার জমে যায়। খুবই অপ্রত্যাশিত ঘটনা এটি। প্রবল তুষারঝড়ে গাছ উপড়ে যায়, চারদিকে তুষার জমে যায়। চারপাশে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’

ওই ঘটনার পরদিন সকাল ১০টার দিকে সামিনাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে রাখা হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে একটি পর্যটন শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে।

দ্য ডন জানিয়েছে, তুষারপাতের সময় এলাকাটিতে হাজারখানেক গাড়ি বরফরাজ্যে আটকা পড়ে। টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে, উত্তরাঞ্চলীয় শহরটিতে সারি সারি গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর ওই এলাকাকে দুর্যোগপ্রবণ ঘোষণা করা হয়।

পাঞ্জাবের মারি শহরটি পর্যটকদের কাছে বরাবরই প্রিয়। এখানে তুষারপাত দেখতে পারাটা একটি বড় আকর্ষণ। অনেকেই সপরিবারে এখানে ছুটি কাটাতে ছুটে আসেন। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

সোমবার সকালে এখানে তুষারপাত শুরু হয়। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে পর্যটকের ভিড়। তুষারপাতে মারির পুরো এলাকা ঢেকে যায়। পরিস্থিতি একপর্যায়ে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তুষারপাতে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। এতে গাড়ি চলাচল দুরূহ হয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে তুষারে প্রায় এক হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। আটকা পড়া গাড়িগুলোর যাত্রীদের বরফের ফাঁদে থাকতে হয় রাতভর। এ অবস্থায় বরফে জমে গিয়ে ১০ শিশুসহ ২২ পর্যটকের মৃত্যু হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, ওই এলাকায় পাঁচ হাজার গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে। তবে শুক্রবার সেখানে এক লাখের বেশি মানুষকে ঢুকতে দেয়া হয়। এতে ব্যাপক যানজট বেঁধে যায়। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো এমন মর্মান্তিক ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে।

এ ঘটনায় কারও অবহেলা রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে জানিয়ে প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র বলেন, ‘উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হবে। কারা কারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর