করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন চোখ রাঙাচ্ছে, ঠিক তখন বিশ্বকে আরেকটি দুঃসংবাদ দিলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
তারা জানিয়েছেন, ভাইরাসটির নতুন আরেকটি ধরন শনাক্ত হয়েছে ভূমধ্যসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে। এটিকে নিয়ে এখনই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সাইপ্রাস বিশ্ববিদালয়ের জৈববিজ্ঞানের অধ্যাপক লিওনডিওস কোস্ট্রিকিস নতুন ধরনের নাম দিয়েছেন ডেল্টাক্রন। এটিতে ডেল্টা ও ওমিক্রনের বৈশিষ্ট্য থাকায় এ নাম দেয়া হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, সাইপ্রাসে করোনার আক্রান্ত ২৫ জনের দেহে ডেল্টাক্রন শনাক্ত হয়েছে। এদের ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাকিরা সাধারণ জনগণ। বলা হচ্ছে, ওমিক্রন থেকে ১০ বার বেশি মিউটেশন হয়েছে এটির।
অধ্যাপক লিওনডিওস কোস্ট্রিকিস বলেন, ‘ডেল্টা ও ওমিক্রনের কিছু ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ডেল্টাক্রমের অনেক মিল রয়েছে। যারা এই ধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। তার মানে হাসপাতালে ভর্তিদের এই ধরনে আক্রান্তের আশঙ্কা বেশি।
সাইপ্রাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখালিস হাজিপ্যান্টেলাস রোববার বলেন, ‘কোস্ট্রিকিস ও তার দল আমাদের গর্বিত করেছেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, এই ধরন নিয়ে গবেষণা চালানো হবে। এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণের দেশ বতসোয়ানায় ২৫ নভেম্বর করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। ভাইরাসটি অতি সংক্রামক হলেও প্রাণহানি ডেল্টা ধরনের চেয়ে অনেক কম।
কিছু দিন আগে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে ভাইরাসটির নতুন ধরন শনাক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আইএইচইউ বা বি.১.৬৪০.২ ধরনটি ৪৬ বারের বেশি মিউটেশন হয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দ্রুত তা ছড়িয়েছে পড়ে বিভিন্ন দেশে। মিউটেশন করে প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে ভাইরাসটি।
ডেল্টা ধরনের পর সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে ওমিক্রন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এরই মধ্যে এই ধরন মোকাবিলায় জারি হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। বাংলাদেশও হাঁটছে সে পথে। সরকার বলছে, ওমিক্রন মোকাবিলায় শিগগিরই আসছে বিধিনিষেধ।