বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে করোনায় ১৩ মাসে মৃত্যু ৩২ লাখ: গবেষণা

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪০

কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের ডা. প্রভাত ঝা এবং ডার্টমাউথ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ডক্টর পল নোভোসাড, আইআইএম-আহমেদাবাদের গবেষকদের একটি দল গবেষণাটি করেছেন।

ভারতে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। প্রতিদিনের শনাক্ত ছাড়িয়েছে লাখের ওপর। সর্বশেষ ২০২২ সালের জানুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ লাখ ৮০ হাজারেও বেশি। দেশটির জনসংখ্যার প্রতি মিলিয়নে মারা গেছেন ৩৪৫ জন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিলিয়ন মৃত্যুহারের ৭ ভাগের ১ ভাগ।

এবার আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্সের সাপ্তাহিক জার্নাল ‘সায়েন্স’ এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১ জুন ২০২০ থেকে ১ জুলাই ২০২১-এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ মানুষের।

এছাড়াও গবেষণাপত্রটিতে দেখা যায়, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সরকারি মৃত্যুর হিসেবের থেকে ৬-৭ গুণ বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

দেশব্যাপী ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ জনের ফোনালাপে নেয়া সাক্ষাৎকার, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা থেকে পাওয়া ২ লাখ মৃত্যুর সনদ, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হওয়া ১০টি রাজ্যের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত মৃতের তথ্যের ভিত্তিতে করা গবেষণায় ৩২ লাখের মৃত্যুর বিষয়টি বোঝা যায়।

১৩ মাসে (১ জুন ২০২০ থেকে ১ জুলাই ২০২১) ৩২ লাখের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে প্রায় ২৭ লাখের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত বছর (২০২১) এপ্রিল থেকে জুনে।

কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের ডা. প্রভাত ঝা এবং ডার্টমাউথ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ডক্টর পল নোভোসাড, আইআইএম-আহমেদাবাদের গবেষকদের একটি দল গবেষণাটি করেছেন।

সরকারি তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার এত ব্যবধান হওয়ার ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে গবেষণাপত্রটিতে।

করোনাভাইরাসের মৃত্যুর ঘটনার বেশির ভাগই হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করোনার মৃত্যু সনদ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলে নথিভুক্তির ক্ষেত্রে হেরফের হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাম্য এলাকায় অনেকেই মারা গেছেন বিনা চিকিৎসায়। তাই তাদেরও নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর