বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ানরা ঘরে ঢুকলে বের করা কঠিন: ব্লিঙ্কেন

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৩২

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশটির সরকার চাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি নিজেরাই সমাধান করে আইনের শাসন জারি রাখতে পারত। তা না করে কেন দেশটির সরকার বাইরের দেশের সহযোগিতা চাইল তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করছি।’

কাজাখস্তানে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন মারাত্মক সহিংসতায় পরিণত হয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মারা গেছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। হামলা চালানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবনেও।

ঠিক এ রকম পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ ও সহিংসতা রোধে রাশিয়ার কাছ থেকে সেনা সহায়তা চেয়েছিল দেশটি। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাশিয়াও তৎক্ষণাৎ ২ হাজার ৫০০ সেনা পাঠায়।

তবে রাশিয়ার সেনা পাঠানোর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজাখ সরকার কেন রাশিয়ার কাছে সেনা সহায়তা চাইল তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে অভ্যন্তরীণ এই অস্থিরতা কাজাখ সরকারই মোকাবিলা করতে পারত।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশটির সরকার চাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি নিজেরাই সমাধান করে আইনের শাসন জারি রাখতে পারত। তা না করে কেন দেশটির সরকার বাইরের দেশের সহযোগিতা চাইল তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করছি।’

রাশিয়ার সেনারা কাজাখস্তান থেকে দেশে ফিরবেন বলে বিশ্বাস করেন না যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সন্দিহান দৃষ্টিতে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসের শিক্ষা, রাশিয়ানরা যখন কারও ঘরে ঢুকে তাদের বের করা কঠিন হয়ে যায়।’

তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা সংগঠন কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) আওতায়। এটি কোনো স্থায়ী সেনা মোতায়েন নয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অস্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ঠিক কত সেনা পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত না হলেও ইন্টারফ্যাক্সকে রাশিয়ার এমপি লিওনিদ কালাসনিকোভ বলেন, ‘কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট যত দিন মনে করবেন আমাদের প্রয়োজন আছে, তত দিন সেনারা অবস্থান করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাজাখস্তানের অবকাঠামো যেন ভেঙে না পড়ে, তা দেখভাল করবে এই জোট।’

এদিকে আন্দোলনকারীরা কাজাখস্তানের আলমাতি শহরের মেয়র কার্যালয়ে হামলা এবং বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসেম-জোমার্ট তোকায়েভ দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার সিএসটিওর হস্তক্ষেপ চান। রাশিয়ার নেতৃত্বে এই জোটে আছে আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান।

এ বিভাগের আরো খবর