ভারতে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশটিতে এক সপ্তাহ আগে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়ায়। শুক্রবারে এসে দৈনিক সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১০০টিতে।
গত এক দিনে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়া দেশটিতে গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩০২ জনের।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছে ৩৭৭ জন। ভারতে এখন ওমিক্রনে ৩ হাজার ৭ জন শনাক্ত হলো। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৮৭৬ ও দিল্লিতে ৪৬৫ জন।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ‘রেকর্ডসংখ্যক মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক দেশেই পূর্বের প্রভাবশালী ডেল্টা ধরনের থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
যদিও ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় কম গুরুতর বলে মনে হয়। বিশেষ করে যাদের টিকা দেয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় যে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে হালকা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা উচিত।’
তিনি বলেছেন, ‘আগের ধরনের মতোই ওমিক্রনেও মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।’
ভারতের মহারাষ্ট্র করোনাভাইরাস দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ৩৬ হাজার ২৬৫ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৮১ জন শনাক্ত হয়েছেন শুধু মুম্বাইতে।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে খুব শিগগিরই মুম্বাইতে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে দিল্লিতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। যা গত মে থেকে সর্বোচ্চ। শহরটিতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১.৫ শতাংশ।
দিল্লি ও মুম্বাই ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কলকাতা, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুকে উদ্বেগের অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি দুর্বল স্বাস্থ্যসুবিধায় থাকা গ্রামগুলোতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।