বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাজাখস্তান উত্তপ্ত, সহিংসতায় নিহত ১৮ পুলিশ

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪৭

রয়টার্সের সাংবাদিকরা আলমাতিতে সামরিক যান এবং কয়েক ডজন সেনার অগ্রসর হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ও বন্দুকযুদ্ধের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন, যদিও রাত নামার পর আবার গুলি বন্ধ হয়ে যায়।

কাজাখস্তানে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে সরকার পদত্যাগ করলেও আন্দোলন থামেনি। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজাখ পুলিশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

এমনকি তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১৮ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এর মাঝে দুজন পুলিশের মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতার মাঝে দেশটির প্রধান শহর আলমাতি যেন এক যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় পুড়ে যাওয়া গাড়ি, সরকারি ভবনগুলো যেন ধ্বংসস্তূপ। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের আশপাশে বুলেটের খোসা ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

চলমান এই ভয়ংকর সহিংসতা রোধে ও বিক্ষোভ দমনে এগিয়ে এসেছে রাশিয়া। দেশটি কাজাখ সরকারকে সহযোগিতা করতে প্যারাট্রুপারদের পাঠিয়েছে।

সেনারা ইতিমধ্যে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে যা পূর্বে বিক্ষোভকারীদের দখলে ছিল।

তবে বৃহস্পতিবার সকালে আলমাতির প্রধান চত্বরে নতুন করে লড়াই শুরু হয়।

রয়টার্সের সাংবাদিকরা আলমাতিতে সামরিক যান এবং কয়েক ডজন সেনা অগ্রসর হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ও বন্দুকযুদ্ধের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন, যদিও রাত নামার পর আবার গুলি বন্ধ হয়ে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মধ্য এশিয়ার দেশটিতে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন জুয়ার মতো ব্যাপারই হয়ে গেছে। তেল উৎপাদন ও ইউরেনিয়ামের জন্য পরিচিত দেশ কাজাখস্তানে যে কোনো মূল্যে মস্কো তার স্বার্থ রক্ষা করতে চাইবে।

একসময় দেশটি সোভিয়েত ব্লকের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ৩০ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কাজাখস্তান।

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোকার্ট তোকায়েভ বিক্ষোভকারীদের বহিরাগত সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে এর স্বপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

তবে সোভিয়েত বলয়ের দেশগুলোর মধ্যে শুধু কাজাখেই নয়, বেলারুশের সরকারবিরোধী আন্দোলনেও মস্কো সরকারের পক্ষ হয়ে হস্তক্ষেপ করে। এ ছাড়া আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের সময়ও দেশটিকে মধ্যস্থতা করতে দেখা যায়। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান উত্তেজনার মাঝেই দেশটি নতুন করে কাজাখস্তানে সেনা পাঠাল।

তবে কাজাখস্তানে মস্কোর সেনাদের ভূমিকা কী হবে, তা জানা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর