বৃহস্পতিবার ভারতে এক দিনে নতুন করে ৯০ হাজার ৯২৮ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এবং ৩২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মাঝে ১৯ হাজার ২০৬ রোগী সুস্থ হয়েছেন। দেশটিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৬.৪৩ শতাংশ।
বর্তমানে দেশটিতে সক্রিয় করোনাভাইরাস শনাক্তের মোট সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজারে পৌঁছেছে।
প্রায় প্রত্যেক শহরেই সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুম্বাইয়ে ১৫ হাজারেরও বেশি শনাক্ত হয়েছে।
মার্চে ২০২০ সালে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ এক দিনের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বুধবার ১০ হাজার ৬৬৫ জন নতুন শনাক্তসহ দিল্লিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
পুনেতেও গত এক সপ্তাহে ছয় গুণ বেশি আক্রান্ত পাওয়া গেছে। শহরটিতে ৩০ ডিসেম্বর ৪৭৭ জন শনাক্ত থেকে এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ সর্বশেষ বুধবার ২ হাজার ৮১৩ জনে পৌঁছেছে।
ইতিমধ্যে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৬৩০। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৭৯৭, দিল্লিতে ৪৬৫, রাজস্থানে ২৩৬ এবং কেরালাতে ২৩৪ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
ভারতের নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডা. ভি কে পল একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় এখনকার সংক্রমণ অনেক ঊর্ধ্বগামী।’
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর মহাপরিচালক ড. বলরাম ভার্গব বলেছেন, যে শহরগুলোতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেসব জায়গায় ওমিক্রন এখন প্রধান ধরন।
ডা. পল অবশ্য যোগ করেছেন যে হাসপাতালে ভর্তির হার তুলনামূলকভাবে কম।
করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার দিল্লিতে ৩.৭ শতাংশ এবং মুম্বাইয়ে ৫ শতাংশের কাছাকাছি। তিনি বলেছেন, ‘এটি আমাদের প্রাথমিক ইনপুট। এটির তুলনায় গত বছর এবং এমনকি ২০২০ সালে হাসপাতালে ভর্তির হার ২০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল।’
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট উদ্বেগের রাজ্য হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, নতুন বছরে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণের নতুন অধ্যায়। ৩ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকা নিতে পারছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও। আর মাত্র তিন দিনেই সেই টিকাকরণের সংখ্যা ১ কোটির গণ্ডি পার করেছে।
বুধবারই কো-উইন পোর্টালের ড্যাশবোর্ডে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ১.২৯ কোটি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী নাবালক/নাবালিকারা করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে।