নতুন বছরেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আবার সামরিক চমক দেখাল উত্তর কোরিয়া। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার পরীক্ষা করা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলতার সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পরও এ ধরনের অস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটি।
ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে এটিকে অনেক উচ্চতায় উঠতে হয়। কিন্তু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র খুব নিচু দিয়ে উড়ে গিয়েও ঘণ্টায় প্রায় ৬২০০ কিলোমিটার গতি অর্জন করতে পারে, যা শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে (কেসিএনএ) জানানো হয়েছে, এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের অংশ।
এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে শীতকালে ফ্লাইট কন্ট্রোলের কম্পোনেন্টগুলোও পরীক্ষা করা হয়েছে।
দেশটি ২০১৭ সালের পর থেকে কোনো ধরনের আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়নি।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম আরও কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র ও ওয়ারহেড তৈরিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এর আগেও উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছিল। সে পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
এবার যদি উত্তর কোরিয়ার দাবি সত্যি হয়ে থাকে। তবে কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হবে।
কারণ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সামরিক জগতে খুবই আধুনিক একটি কৌশলগত যুদ্ধাস্ত্র। মাত্র আটটি দেশ এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন এ ধরনের সমরাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘গত বছর ধরেই উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’