ভারতে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে শনাক্ত ২ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৫ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৫ জন। আর ওমিক্রন শনাক্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮২৮ জন।
মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত বেশি। মহারাষ্ট্রে ৬৫৩ জন ও দিল্লিতে ৪৬৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
একই সঙ্গে দেশটিতে করোনায় দৈনিক সংক্রমণও বেড়েছে। এক দিনের ব্যবধানে সেখানে করোনায় সংক্রমণ বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৮ হাজার ৯৭ জনের। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৩৭৯। দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা শনাক্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩৪ জনের। আর একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৯ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি যত বেশি ছড়াবে, এটি থেকে নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি।
করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ভারতের রাজ্যগুলোতে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লিতে।
কর্ণাটকেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সেখানে রাতে চলবে কারফিউ। অতি জরুরি পরিষেবা ও গণপরিবহন চালু থাকবে। খোলা থাকবে হোটেল। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সব অফিস খোলা থাকবে। তবে মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ বা জমায়েত করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য মুম্বাইয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে মুম্বাইয়ে আসা সব যাত্রীকেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।