জীবন উপভোগ করতে না পেরে অনেকেই বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। বৈরিতার মুখোমুখি হতে যে সাহস আর ধৈর্যের প্রয়োজন সেটা দেখাতে পারেন না তারা। কিন্তু যারা আত্মহননের পথে হাঁটেন, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন, একটু ধৈর্য আর চেষ্টায় দারুণ উপভোগ্য করে তোলা যায় জীবনকে।
জীবন যে কতটা মূল্যবান নিজের ১১৯তম জন্মদিনে তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন জাপানের কেইন তানাকা। বিশ্বে বেঁচে থাকা সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের খেতাব এই জাপানিজ নারীর। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে ১১৬ বছর বয়সে।
দাদির জন্মদিনের একটি ছবি স্থানীয় সময় রোববার টুইটারে শেয়ার করেন নাতি জুনকো। লেখেন, ‘অসাধারণ অর্জন! তানাকা আজ ১১৯ বছরে পা রেখেছেন। এভাবে আরও অনেক বছর আনন্দ নিয়ে বেঁচে থেকো।’
এর পরপর দুটি কোকা-কোলার বোতলের ছবি শেয়ার করেন জুনকো। যেখানে দেখা যায়, বোতলের লেবেলে লেখা তানাকার নাম ও বয়স।
টুইটে জুনকো জানান, তানাকার সম্মানে কোকা-কোলা কোম্পানি এ দুটি বোতল উপহার পাঠিয়েছে। এটা দেখে মনে হয়েছে তানাকা এখনও পছন্দের পানীয় কোকা-কোলা।
জন্মদিন ঘিরে কোকা-কোলা কোম্পানির উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত তানাকা। ছবি: টুইটার
কেইন তানাকার জন্ম ১৯০৩ সালে। ওই বছর রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমবার আকাশে উড়েন, ট্যুর ডি ফ্রান্সেরও গোড়াপত্তন ঘটে ওই সালে।
১৯ বছর বয়সে এক চাল ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। ১০৩ বছর পর্যন্ত সেই দোকানেই কাজ করেন তিনি।
এক জীবনে বেশকিছু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন তানাকা। দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধ, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লতেও টিকে ছিলেন। ৪৯টি গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিক গেমস দেখার সৌভাগ্যও হয়েছে তার।
সিএনএনকে তানাকার নাতি ইজি বলেন, ‘ অতীত খুব একটা মনে নেই। যতটুকু মনে আছে তিনি প্রচণ্ড দূরদর্শী… বর্তমান জীবনকেও দারুণ উপভোগ করছেন।’
জাপানের ফুকুকা অঞ্চলে একটি নার্সিং হোমে বাস করেন কেইন তানাকা। তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গণিতের জটিল সব সমস্যার সমাধান করার মধ্য দিয়ে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যস্ত রাখেন তানাকা।
জন্মদিনে টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেও উষ্ণ অভিনন্দন পেয়েছেন কেইন তানাকা। তারা তানাকার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘ জীবন কামনা করেছেন।