বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেরানোসের প্রতিষ্ঠাতা এলিজাবেথ হোমস।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে প্রায় চার মাস ধরে এ মামলার বিচার কাজ চলে। অবশেষে মঙ্গলবার জুরিরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
প্রসিকিউটর জানান, এলিজাবেথ সব জেনেশুনেই তার প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি নিয়ে মিথ্যা বলেছেন।
এলিজাবেথ হোমস দাবি করেছিলেন, তার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাত্র এক ফোঁটা রক্ত দিয়েই রোগ ধরতে পারবে।
তবে ২০১৫ সালে রক্তের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের প্রযুক্তি অকার্যকর জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এরপরই তার প্রতিষ্ঠানে ধস নামে। ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার ষড়যন্ত্রসহ তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আদালতে গড়ালে প্রতারণার ষড়যন্ত্রসহ মোট চারটি অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পান জুরিরা।
এসব অভিযোগের প্রতিটির জন্য এলিজাবেথের কমপক্ষে ২০ বছর করে সাজা হতে পারে। সে হিসাবে তাকে সর্বোচ্চ ৮০ বছর সাজা ভোগ করতে হতে পারে।
এলিজাবেথের বিরুদ্ধে মোট ১১টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চারটি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়। তিনটি অভিযোগের ব্যাপারে জুরিরা এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ঝরে পড়ার পর মাত্র ১৯ বছর বয়সে এলিজাবেথ থেরানোস প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাস্থ্য খাতে ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তন’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এক সময় সিলিকন ভ্যালিতে থেরানোসের আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৯০০ কোটি ডলার।
অভিযোগ প্রমাণের পর এলিজাবেথকে এখনও জেলহাজতে নেয়া হয়নি। রায় ঘোষণার দিন এখনও জানা যায়নি। আগামী সপ্তাহে আরও শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে থেরানোসের কর্মকাণ্ডে ত্রুটি ছিল বলে স্বীকার করেন এলিজাবেথ। তবে জেনেবুঝে রক্ত দিয়ে রোগ নির্ণয়ে প্রতারণার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই নারী উদ্যোক্তা।