করোনা পরিস্থিতির অবনতির পরেও পশ্চিমবঙ্গের চারটি পৌরসভায় ভোটের দিন বদলাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলের ভোট পেছানোর দাবি নাকচ করেছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা সতর্কতায় সকল বিধি মেনে নির্ধারিত ২২ জানুয়ারিতেই চারটি পৌরসভার ভোট হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্য সতর্কতা ও বিধিনিষেধ।
পশ্চিমবঙ্গের পৌরনিগম বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও চন্দননগরের ভোট প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
বৈঠকের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় নির্ধারিত দিনেই চারটি পৌরসভার ভোট হবে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি বলেই তারা মনে করেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কিছু বিধিনিষেধ জারি করলেও ভোট বন্ধের মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা। বরং ভোট পেছালেই অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে বলে তাদের মত।
তবে ভোটকে কেন্দ্র করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য বিধিনিষেধ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। পৌর ভোটের প্রচারের সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। প্রচারনায় মাস্ক ও স্যানিটাইজেশন ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ভোট শুরুর ৭২ ঘন্টা আগেই প্রচার শেষ করতে বলেছে কমিশন।
কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোট কর্মীদের সকলের জন্য দুই ডোজ করোনা টিকা বাধ্যতামূলক। ভোট প্রচারে কোন রোড শো বা মোটরসাইকেল মিছিল করা যাবে না। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে ৫ জনের বেশি কর্মী রাখা যাবে না। তবে খোলা মাঠে ৫০০ জন নিয়ে সভা করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলো। কোন সভাঘর বা প্রেক্ষাগৃহ ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে সভা করা যাবে।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেছে কমিশন।