বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওমিক্রন-ডেল্টার প্রকোপের মাঝেই ইসরায়েলে শনাক্ত ‘ফ্লোরানা’

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১০

মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড. পল বুর্টন বলেছেন, এটি বেশ সম্ভব যে ডেল্টা ও ওমিক্রন একজন আরেকজনের সঙ্গে জীনগত বৈশিষ্ট্য বিনিময় করে আরও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের জন্ম দিতে পারে।

ওমিক্রন ও ডেল্টার জেরে দেশে দেশে আবারও দেয়া হচ্ছে বিধিনিষেধ ও লকডাউন। ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দেশেই দৈনিক সংক্রমণের পূর্বের রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে বারবার। এমনকি ভারতেও সংক্রমণের মাত্রার ঊর্ধ্বগতিতে বিভিন্ন শহরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ঠিক এমন সময় বিশ্ববাসীর জন্য নতুন দুঃসংবাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ফ্লোরানা।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের রবিন হাসপাতালের একজন রোগীর দেহে ফ্লোরানা শনাক্ত হয়েছে। একজন গর্ভবতী নারী প্রসবের সময় হাসপাতালে ভর্তি হলে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হলে তার দেহে ফ্লোরানা শনাক্ত হয়। তিনি করোনা প্রতিরোধী টিকা নেননি।

ফ্লোরানা হলো কোভিড-১৯ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মিলিত সংক্রমণ।

নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার দেড় মাসের মধ্যেই ইসরায়েলে ফ্লোরানার সন্ধান পাওয়া গেল।

তবে ফ্লোরানাকে ঠিক করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বলা যায় না। এটি মানবদেহে করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মিলিত আক্রমণ। যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।

মিশরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ড. নাহলা আবদেল ওহাব ইসরায়েলি মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ফ্লোরানা শনাক্ত হওয়া ইঙ্গিত করে যে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে একই সময়ে দুটি ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ।’

ফলে বিশেষজ্ঞরা ডেলমিক্রনের আশঙ্কা করছেন। ডেলমিক্রন বলতে তারা করোনাভাইরাসের দুটি ধরন ওমিক্রন ও ডেল্টার একই সঙ্গে মানবদেহে আক্রমণ বোঝাচ্ছেন।

দুটি ভ্যারিয়েন্টই এখন আর নতুন নয়। তবে এর সম্মিলিত আক্রমণ আরও বিপজ্জনক হতে পারে।

মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড. পল বুর্টন বলেছেন, এটি বেশ সম্ভব যে ডেল্টা ও ওমিক্রন একজন আরেকজনের সঙ্গে জীনগত বৈশিষ্ট্য বিনিময় করে আরও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের জন্ম দিতে পারে।

ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস মোকাবিলার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নাগরিকদের করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়া। এরই মধ্যে দেশটিতে টিকার চার নম্বর ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর