অ্যাপল এক বিস্ময়ের নাম। স্টিভ জবসের হাতে জন্ম নেয়া প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনে যেমন চমক লাগিয়ে বেড়ায়, তেমনি কর্পোরেট জগতেও তৈরি করে যাচ্ছে একের পর এক রেকর্ড।
ওয়ালমার্ট, ডিজনি, নেটফ্লিক্স, নাইকি, এক্সন মোবিল, কোকা-কোলা, কমক্যাস্ট, মর্গান স্টানলি, ম্যাকডোনাল্ডস, এটিএন্ডটি, গোল্ডম্যান স্যাক্স, বোয়িং, আইবিএম ও ফোর্ডের মতো বিখ্যাত কোম্পানির সম্মিলিত মূল্যের থেকেও এখন অ্যাপলের দাম বেশি।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এর মূল্যমান তিন ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বিশ্বের কোনো কোম্পানি এমন নজির এর আগে দেখাতে পারেনি।
অ্যাপল একটি কম্পিউটার কোম্পানি। ১৯৭৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গ্যারেজ থেকে যার যাত্রা শুরু হয়। অথচ গ্যারেজে জন্ম নেয়া অ্যাপল এখন ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। গত সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার ১৮২.৮৬ ডলার স্পর্শ করলেই এর মূল্যমান ৩ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
২০১৮-এর আগস্টে অ্যাপল প্রথম আমেরিকান কোম্পানি হিসেবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার ভ্যালু অতিক্রম করে। এই যাত্রা পাড়ি দিতে কোম্পানিটি সময় নেয় ৪২ বছর। তার ঠিক ২ বছর পরই কোম্পানিটির ভ্যালু দাঁড়ায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারে। আর পরবর্তী ১ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তে সময় নিল ১৬ মাস ১৫ দিন।
একটি কোম্পানির ভ্যালু এই পর্যায়ে যেতে পারে তা কয়েক বছর আগেও অসম্ভব ভাবা হতো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মাইক্রোসফটও অ্যাপলের পথ ধরে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হতে পারে।
অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যারা ভোক্তাদের জন্য ইলেকট্রিক গ্যাজেট ও স্মার্ট ডিভাইস বানিয়ে থাকে। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সফটওয়্যারকেন্দ্রিক সেবা ডিজাইনও ডেভেলপ করে থাকে। তাদের হার্ডওয়্যার গেজেটের মধ্যে রয়েছে স্মার্টফোন, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, মিডিয়া প্লেয়ার ও স্মার্টওয়াচ। সফটওয়্যার পণ্যের মধ্যে রয়েছে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম, আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ও সাফারি ওয়েব ব্রাউজার। যোগাযোগের জন্য এদের রয়েছে ফেসটাইম অ্যাপ। বিনোদন জগতের জন্য রয়েছে অ্যাপল টিভি। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি ইলেকট্রিক গাড়িও আনতে চায়।