বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণ-আন্দোলনের মধ্যে সুদানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৪২

ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিটি শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করে আসছিল সুদানের জনগণ। তাদের দাবি, দেশ চলবে সম্পূর্ণ বেসামরিক রাজনৈতিক শাসনে। ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন হামদক।

সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিতর্কিত একটি চুক্তিতে ফের সুদানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার মাস না গড়াতেই গণ-আন্দোলনের মধ্যে পদত্যাগ করলেন আব্দাল্লা হামদক।

বিবিসি লিখেছে, গেল অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের শাসন ক্ষমতা কেড়ে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। তখন হামদককে হাউস অ্যারেস্ট দেখানো হয়। পরে ক্যু-এর নেতৃত্বদানকারী জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তির মাধ্যমে ফের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন হামদক।

ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিটি শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করে আসছিল সুদানের জনগণ। তাদের দাবি, দেশ চলবে সম্পূর্ণ বেসামরিক রাজনৈতিক শাসনে। ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন হামদক।

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে হামদক বলেন, সুদান ভয়াবহ এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে, যা দেশটিকে টিকে থাকার হুমকিতে ফেলেছে।

হামদক তার ভাষণে জানান, দেশকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য সবকিছু করা সত্ত্বেও তা হয়ে ওঠেনি।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি। দেশের মঙ্গলের জন্য অন্য কোনো পুরুষ বা নারীকে দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি… একটি বেসামরিক গণতান্ত্রিক দেশে উঠে আসতে চলমান সংকট সমাধানে যা বাকি আছে তা অতিক্রম করতে সহায়তা করুন।’

২০১৯ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সুদানের স্বেচ্ছাচারী প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ক্ষমতাচ্যুত হন। তারপর দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরানোর নানা চেষ্টা চললেও তা ব্যাহত হচ্ছে। গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য বেসামরিক ও সামরিক নেতারা দেশটিতে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করেন।

ওই চুক্তির পর নভেম্বরে হামদক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্বহাল হন। বলা হয়, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত টেকনোক্র্যাট কেবিনেটের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

তবে বেসামরিক এই সরকারকে কতটা ক্ষমতা দেয়া হবে তা অস্পষ্ট ছিল। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সেনাদের ওপর তাদের কোনো বিশ্বাস নেই।

ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তির প্রতিবাদে রোববারও রাজধানী খার্তুম ও নীল নদের তীর ঘেঁষা ওমদুরমান শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভে মূল স্লোগান ছিল, ‘জনগণের হাতে ক্ষমতা দাও’। সেই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি ছাড়তে আহ্বান জানানো হয়।

সুদানে গণতন্ত্র ফেরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব উপস্থিতি দেশটির জনগণের। তারা বলছেন, ২০২২ সাল হবে ‘প্রতিরোধের ধারা অব্যাহত রাখার বছর’।

সুদান সেন্ট্রাল ডক্টরস কমিটি থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভে গত দুই দিনে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে।

গত অক্টোবরের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা হলেন জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য একটি গৃহযুদ্ধ থামাতেই কাজ করেছে সেনারা। তবে ফাত্তাহ বলছেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বেসামরিক শাসন শুরুর ব্যাপারে এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুদান।

এ বিভাগের আরো খবর