বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাইনোসরের পর আসছে আরেকটি গণবিলুপ্তি!

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৩৫

পরিবেশবাদী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাইনোসর যুগের পর সবচেয়ে বড় গণবিলুপ্তি দেখতে চলেছে পৃথিবী। আগামী এক দশকের মধ্যে তা ঘটবে।    

প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে কোনো এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি ঘটে ডাইনোসর প্রজাতির। এরপর এমন বিলুপ্তি আর দেখা যায়নি পৃথিবীতে।

বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সতর্ক করেছেন, কোটি কোটি বছর আগের ওই বিপর্যয়ের চেয়েও বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে পৃথিবীতে। পরিবেশবাদী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) বরাতে এ খবর ছেপেছে ডেইলি মেইল

ডব্লিউডব্লিউএফ দাবি করছে, ডাইনোসর যুগের পর পৃথিবীতে আগামী এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় গণবিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।

২০২১ সালের বর্ষসমাপনী প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করেছে- আফ্রিকান হাতি, মেরু ভালুক, ব্যাঙ, মাছ ও হাঙ্গরের মতো অনেক প্রাণী বিলুপ্তির ঝুঁকির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।

‘প্রায় ১০ লাখ প্রজাতি আগামী এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হতে পারে। আর এটা হবে ডাইনোসর যুগের পর পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় গণবিলুপ্তি।’

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) ১৯৬৪ সাল থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতির তালিকা করছে। বর্তমানে তাদের লাল তালিকায় আছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ প্রজাতি।

আইইউসিএন বলছে, সামনের গণবিলুপ্তিতে এদের মধ্যে ৪০ হাজার প্রজাতি পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে।

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে আফ্রিকান হাতি। গত তিন দশকে এই প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যা কমেছে ৮৬ শতাংশ!

উত্তর মহাসাগর বা আর্কটিকের বরফ আশঙ্কাজনক হারে গলতে থাকায় বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতির মধ্যে উপরের দিকে আছে মেরু ভালুক। আইইউসিএনের হিসাব বলছে, ২০৩৫ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে আর্কটিকের সব বরফ গলে যাবে।

এ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত মাছ আহরণ, বাসস্থানের সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হাঙ্গর ও স্টিং রে প্রজাতি কমে যাবে ৩০ শতাংশ।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, নগরায়নের ফলে জার্মানিতে ব্যাঙের মতো উভচর প্রাণীও গণবিলুপ্তি থেকে রেহাই পাবে না। ঝিনুক প্রজাতিও আছে এই তালিকায়।

এতোসব শঙ্কার মধ্যে আশার বাণীও শোনাচ্ছে ডব্লিউডব্লিউএফ। তারা বলছে, নেপাল সরকার সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়ায় ভারতীয় গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে। দেশটি ২০১৫ সালে এই উদ্যোগ নেয়ার পর এই প্রজাতির গন্ডারের সংখ্যা ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপে স্পেন ও পর্তুগালে বিলুপ্তির পথে ছিল আইবেরিয়ান লিংকস (বনবিড়ালের প্রজাতি)। বিষয়টি টের পেয়ে ১৮ বছর আগে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল লিসবন ও মাদ্রিদ। বর্তমানে ১ হাজার ১১১টি আইবেরিয়ান লিংকস আছে দেশ দুটিতে।

এমন উদ্যোগের ফলে আল্পস পর্বতমালায় দাড়িওয়ালা শকুনের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৩০০ শকুন।

এ বিভাগের আরো খবর