সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে অনায্যভাবে পোস্ট, ভিডিও-ছবি মুছে দেয়ার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা।
ফিলিস্তিনে বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপের পোস্টের ক্ষেত্রেও মাধ্যমটি চরম দমন চালাচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ তুলেছেন।
অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফেসবুক। মাধ্যমটির দাবি, তারা অনায্যভাবে কোনো পোস্ট মুছে দেয়নি বা দমন করেনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর ফিলিস্তিন টিভির প্রতিবেদক ক্রিস্টিয়ান রিনাভি তার ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটি ছিল ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে গুলি করে হত্যা করার। সে ব্যক্তি ছুরি নিয়ে ইসরায়েলি এক বেসামরিক নাগরিকের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
রিনভি ভিডিওটি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে সেটি সরিয়ে ফেলে ফেসবুক। রিনভির অ্যাকাউন্টে প্রায় চার লাখ ফলোয়ার ছিলেন।
এমন অনায্যভাবে তার ফেসবুক থেকে কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রিনভি বলেন, তিনি গত নভেম্বরে জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি হামলার ফুটেজ পোস্ট করেছিলেন। এরপর থেকে তার অ্যাকাউন্ট সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়।
উভয় ক্ষেত্রেই ফেসবুক বলেছে, তারা বিষয় দুটিতে হস্তক্ষেপ করেছে, কারণ রিনভির পোস্ট করা কনটেন্টগুলো প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা অ্যাপটির মাধ্যমে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন ডিজাইন করেছেন।
‘যারা কোনো কিছু পোস্ট করুক না কেন, আমরা আমাদের নীতিগুলো সবার কাছেই সমানভাবে প্রয়োগ করি।’
গত কয়েক বছর থেকেই ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। গত অক্টোবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েলি সমালোচক বলেন, ফিলিস্তিনি ও তাদের সমর্থকদের প্ল্যাট ফর্মটিতে ব্যাপক দমনপীড়ন চলছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে মানবাধিকারবিষয়ক কোনো কথা তারা বলতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি অনেক প্রতিবেদক আছেন যারা নানা ধরনের সমালোচনামূলক বক্তব্য দমনের অভিযোগ করেছেন ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
মেটার মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের আরবি ও হিব্রু ভাষার একটি দল রয়েছে, যারা আমাদের কমিউনিটিকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করেন। তারা অন্যের জন্য ক্ষতিকর কনটেন্টগুলো মুছে ফেলেন।’