পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ চলছিল তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি)। আগস্টে আফগান তালেবান প্রতিবেশী দেশটির ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একচেটিয়া সমর্থন লাভ করে। ধারণা করা হচ্ছিল তালেবানের মধ্যস্থতায় টিটিপির সঙ্গে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামবে। গত নভেম্বরেই পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে টিটিপির যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে টিটিপির যুদ্ধবিরতির মাঝেই তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তেহরিক-ই-তালেবানের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৪ সেনা নিহত হয়েছেন।
উত্তর ওয়াজিরিস্থানের একটি সন্দেহভাজন বাড়িতে সেনাবাহিনী অভিযান চালাতে গেলে টিটিপির সঙ্গে তীব্র সংঘাত বেধে যায়। সেখানেই সেনা নিহতের ঘটনা ঘটে।
এ সময় একজন টিটিপি সদস্যকে অস্ত্রসহ আটকের দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
টিটিপি দাবি করেছে, বুধবারের সংঘর্ষে ৭ জন সেনা মারা যান। তাদের কেউ হতাহত হয়নি।
ভিন্ন একটি ঘটনায় খাইবার পাখতুন এলাকায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে টিটিপি কোনো মন্তব্য করেনি।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ ঘটনায় টিটিপি জড়িত ছিল।
এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর দাবি, সংগঠনটি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম, গুপ্তহত্যা ও মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপহরণের মতো অপরাধে জড়িত।
তেহরিক-ই-তালেবান ও আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান দুটি ভিন্ন সংগঠন। তবে তারা একই মূল্যবোধ ধারণ করে থাকে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সক্রিয় থাকা সংগঠনগুলোর মধ্যে টিটিপিই সবচেয়ে শক্তিশালী।
সংগঠনটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা পেশোয়ারে একটি ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে হামলা চালিয়ে ১৫০ জন স্কুলপড়ুয়া শিশুকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর পাকিস্তান সংগঠনটির বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।