বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার ওমিক্রন ধরন। এর মাঝেই থেমে থাকেনি দেশে দেশে নববর্ষের উদযাপন। বরাবরের মতোই এই উদযাপন শুরু হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে পূবের দেশগুলো থেকে।
অবস্থান অনুযায়ী এবার সবার আগে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় দেশটির এবারের উদযাপন কিছুটা ভিন্ন।
ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডে অকল্যান্ডের উঁচু ভবনগুলো আর হার্বার ব্রিজ এবার মৃদু আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এটা বেশ ব্যতিক্রম। উদযাপনের জন্য বিখ্যাত বেশিরভাগ স্থানের আতশবাজির অনুষ্ঠান এবার বাতিল করা হয়েছে। দেশটির কোথাও ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত না হলেও নববর্ষ উপলক্ষ্যে ছিল বাড়তি নিরাপত্তা।
নিউজিল্যান্ডে ঢিমেতালে উদযাপন হলেও প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া বেশ ব্যতিক্রম। মহামারিকে পাত্তা না দিয়ে এবারও নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে তারা। শুক্রবার রাতে প্রতিবছরের মতো এবারও আতশবাজিতে বর্ণিল হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির আকাশ।
সিডনি হার্বার ব্রিজ ও সিডনি অপেরা হাউস এলাকা এবারও ছিল মুখরিত। যদিও উৎসব শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগেই আরও ৩২ হাজার নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গত বছর উদযাপন করা হলেও এবার জাপানের আলোকসজ্জা ও আতশবাজির অনুষ্ঠান এবার বাতিল করা হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরের ম্যারিনা বে স্যান্ড হোটেলের উপর দিয়ে আতশবাজির মাধ্যমে পুরনো বছরকে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে।
ভারতের অমৃতসরে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: দ্য গার্ডিয়ানঅন্যান্য দেশের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে এবার কঠোর স্বাস্থবিধি আরোপ করা হয়েছে। তারপরও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে আবু ধাবির ল্যুভর মিউজিয়ামের সামনেই এবার ডেভিড গ্যুয়েত্তার মিউজিক শো হচ্ছে। এ ছাড়া দুবাই শহরের খলিফা টাওয়ারেও চিত্তাকর্ষক লেজার শোর আয়োজন আছে।
নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়ারে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আসা দুই ব্যক্তি। ছবি: দ্য গার্ডিয়ানএর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের মেয়র বিশাল শি-হুন বিশাল একটি ঘণ্টা বাজিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অংশে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের নববর্ষ উদযাপন আলাদা। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ‘হগমানয়’ উদযাপন এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে। বছর শেষের রাতটিতে স্কটিশ পাবগুলো খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে নাইট ক্লাবগুলো।
একই অবস্থা যুক্তরাজ্যের ওয়েলসেও। আর আয়রল্যান্ডে এবার নাচানাচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই ইংলিশদের উদযাপনে।
এমন মোহনীয় আলোকসজ্জা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি নগরীতে। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান