শত্রুকে পরাস্ত করতে কত কিছুই না করে মানুষ। হামলা, মামলা, প্রচারণা (প্রপাগান্ডা)… যুগ যুগ ধরে এসব চলে আসছে। কিন্তু সেই শত্রুকেই যদি বশে আনা যায়, তবে সেসব ঝক্কি এড়ানো যাবে সহজেই।
‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমায় এমন যন্ত্রের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। চার দশক আগের সেই সিনেমায় মস্তিষ্ক প্রক্ষালন নামের এক যন্ত্রের সাহায্যে প্রজাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্য শাসনে দেখা গিয়েছিল হীরকের রাজাকে।
কল্পজগতের এমন যন্ত্র আবিষ্কারের পথে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, জৈবপ্রযুক্তির সহায়তায় এসব তৈরি করছে চীন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় বেইজিংয়ের সামরিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১টি গবেষণা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অনুমতি ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো পণ্য রপ্তানি ও স্থানান্তর করতে পারবে না।
চীনের অ্যাকাডেমি অফ মিলিটারি অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সসসহ ১১টি গবেষণা সংস্থায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি:উইকিপিডিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চীনা এসব অস্ত্র মারবে না, কাটবেও না। কেবল শত্রুর মস্তিষ্কে নিয়ন্ত্রণ নেবে। তখন সে ব্যক্তিকে দিয়ে চাইলে যেকোনো কাজ করানো যাবে। নয়তো পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে ফেলে রাখা যাবে বিছানায়।
এসব অস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করলেও ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত কিছু নথিতে এ বিষয়ে আভাস মিলেছিল। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমস সে সময় চীনা সামরিক বাহিনীর গোপন এসব নথি প্রকাশ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমান্ডো ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘জিন এডিটিং, হিউম্যান প্রিফারেন্স ইনহান্সমেন্ট এবং ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস’ তৈরির চেষ্টা করছে চীন। এসব প্রযুক্তি উইঘুরসহ সংখ্যালঘুদের ওপর প্রয়োগ হতে পারে বলা আশঙ্কা করছি।’