তিনটি গবেষণা ডিভাইস মহাকাশে পাঠাতে আবারও রকেট উৎক্ষেপণ করলো ইরান। ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার মাঝেই দেশটি এই ঘটনা ঘটালো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে বৃহস্পতিবার রকেট উৎক্ষেপণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কখন রকেটটি উৎক্ষেপিত হয়, তা জানা যায়নি।
এছাড়াও কোন ধরনের গবেষণা ডিভাইস মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। সে সংক্রান্ত কোনো তথ্যও জানা যায়নি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র আহমেদ হোসেইনি জানিয়েছেন, সিমর্গ নামের রকেটটি যেসব ডিভাইস বহন করছে তা মহাকাশে ৪৭০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে অবস্থান করবে।
এর আগেও ২০১৭ সালে ইরান সিমর্গ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করে।
ইরানের সরকারি টেলিভশন উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায়, সাদা রং-এর একটি রকেটে ‘সিমর্গ স্যাটেলাইট ক্যারিয়ার’ লেখা ছিল। আর স্লোগান দেয়া ছিল ‘আমরাও পারি’। একজন রিপোর্টারকে বলতে শোনা যায়, ‘ইরানি বিজ্ঞানীদের আরও একটি অর্জন‘।
বেসামরিক মহাকাশ প্রকল্পের পাশাপাশি দেশটির ইসলামী বিপ্লবী বাহিনীরও (আইআরজিসি) নিজস্ব মহাকাশ প্রকল্প রয়েছে। তারাও গত বছর মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে।
ওয়াশিংটন মনে করে, মহাকাশ প্রযুক্তির আড়ালে ইরান তার ব্যালাস্টিক মিসাইল প্রকল্পের উন্নয়ন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রকেট উৎক্ষেপণের বিষয়ে তারা অবগত আছেন। এ ধরনের রকেট উৎক্ষেপণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া ২০১৫-এর পরমাণু চুক্তির লংঘন।
একই উদ্বেগ জানিয়েছে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারাও বলছে, ইরানের রকেট উৎক্ষেপণ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে।
পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
দেশটির দাবি, জাতিসংঘের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবে ইরানকে শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং ইরান কখনো এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।