বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফারাওদের মধ্যেও ছিল খতনার প্রচলন

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৪৯

গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক সারাহ সালেম জানান, ফারাও সম্রাট আমেনহোটেপের খতনা করা ছিল। এ ছাড়া তার দাঁত ছিল বেশ পরিপাটি। গায়ে ছিল ৩০টি তাবিজ। মৃতদেহের গলায় স্বর্ণের মালা ও স্বর্ণের কোমরবন্ধনী রয়েছে।

ফারাও সম্রাট আমেনহোটেপকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুনভাবে উন্মোচিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পেয়েছেন আশ্চর্যজনক তথ্য। খতনা শুধু মুসলিম কিংবা ইহুদিদের ধর্মীয় প্রথাই নয়, এর প্রচলন ছিল ফারাও রাজপরিবারেও।

পিআর রিভিউ জার্নাল লাইফ সায়েন্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, মিসরের একদল গবেষক প্রথমবারের মতো ফারাও আমেনহোটেপের মমিতে ডিজিটাল থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ছবি পেয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, তিনি খতনা করা ছিলেন।

ফারাও আমেনহোটেপের মমি খুব যত্ন করে মোড়ানো হয়েছিল। ফুলের নকশার সঙ্গে বানানো হয়েছিল মুখোশ। পুরো মমিকরণটা এতই পরিপাটি ছিল যে, বিশেষজ্ঞরাও আবরণ উন্মোচন করতে বিব্রতবোধ করেছেন। এটি নষ্ট করার দায় কেউ নিতে চাননি।

আমেনহোটেপকে সমাধিস্থ করার তিন হাজার বছর পর এই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাকে উন্মোচনিত করা হলো। এতে মমির কোনো ক্ষতি হয়নি। আধুনিক সিটিস্ক্যানের মাধ্যমে কয়েকটি স্তর ভেদ করে বিশেষজ্ঞরা বের করেছেন আমেনহোটেপের মরদেহের প্রকৃত অবস্থা।

তারা জানতে পেরেছেন, ১৫২৫ থেকে ১৫০৪ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত শাসন করা আমেনহোটেপ লম্বায় ছিলেন ৫ দশমিক ৫ ফুট।

গবেষক দলের সদস্য কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সারাহ সালেম জানান, ফারাও সম্রাটের খতনা করা ছিল। এ ছাড়া তার দাঁত ছিল বেশ পরিপাটি। গায়ে ছিল ৩০টি তাবিজ। মৃতদেহের গলায় স্বর্ণের মালা ও স্বর্ণের কোমরবন্ধনী রয়েছে।

তবে আমেনহোটেপের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তার শরীরে কোনো আঘাত কিংবা অসুস্থতাজনিত কোনো ক্ষত পাননি বিশেষজ্ঞরা।

সালেম বলেন, সিটিস্ক্যান রিপোর্টগুলোতে আমেনহোটেপ দেখতে কেমন ছিলেন তা জানা গেছে। তিনি তার বাবা ফারাও আহমসের মতোই দেখতে ছিলেন। বাবার মতোই আমেনহোটেপের ছিল লম্বা নাক, সরু চিবুক ও কোঁকড়ানো চুল।

আমেনহোটেপ ছিলেন ফারাও সাম্রাজ্যের ১৮তম শাসক। ১৫২৫ থেকে ১৫০৪ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত ফারাও সাম্রাজ্য শাসন করেন। এ সময় তিনি উত্তর সুদান পর্যন্ত নিজের সাম্রাজ্যকে প্রসারিত করেছিলেন। ফারাও সম্রাট আমেনহোটেপ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান।

ফরাসি ইজিপ্টলজিস্ট (মিসরীয় পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ) গ্যাস্টন ম্যাস্পেরো ১৮৮১ সালে থিবসে খুঁজে পান আমেনহোটেপের মমি। পরে জানা যায়, ১০৭০ থেকে ৯৪৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কোনো এক সময়ে আমেনহোটেপের দেহ তার প্রকৃত সমাধি থেকে চুরি করে থিবসে এনে রাখা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর