বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলকাতায় মাদার তেরেসার মিশনারিজের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:০৭

ক্ষমতাসীন বিজেপি অনেক আগে থেকে দাবি করে আসছিল, মিশনারিজ অফ চ্যারিটি দাতব্য কার্যক্রমের আড়ালে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অর্থ, বিনামূল্যে শিক্ষা ও বাসস্থানের বিনিময়ে সংস্থাটি দরিদ্র হিন্দু ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গরিব মানুষকে খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠিত চ্যারিটি অফ মিশনারিজের ব্যাক অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। প্রতিষ্ঠানটির অনুদান পাওয়া বন্ধ করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান বড়দিন উদযাপনের সপ্তাহ পার না হতেই সোমবার অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধের খবর আসে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের আগে ভারতের বেশ কিছু এলাকায় বড়দিন উদযাপনে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে উগ্র হিন্দুবাদীরা। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনি এলাকাও রয়েছে।

ক্ষমতাসীন বিজেপি অনেক আগে থেকে দাবি করে আসছিল, মিশনারিজ অফ চ্যারিটি দাতব্য কার্যক্রমের আড়ালে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অর্থ, বিনামূল্যে শিক্ষা ও বাসস্থানের বিনিময়ে সংস্থাটি দরিদ্র হিন্দু ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গরিব মানুষকে খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে।

এসব কার্যক্রমে লাগাম টানতেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের এমন নির্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বড়দিনের সময়টাতে এটা শুনে আমি হতবাক। কেন্দ্রীয় সরকার মাদার তেরেসার সব ব্যাক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে।’

মিশনারিজের ২২ হাজার রোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী খাবার ও ওষুধ শূন্য হয়ে পড়েছে জানিয়ে মমতা বলেন, এসব মানবিক কার্যক্রম কোনোভাবেই ব্যাহত করা উচিত নয়।

রোমান ক্যাথোলিক নান মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। ১৯৭৯ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী এই মানবহিতৈষী নারীর মৃত্যু হয় ১৯৯৭ সালে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের ৩ হাজারের বেশি নান রয়েছে। তারা অসহায়দের সেবা-শুশ্রূষা, পরিত্যক্ত শিশুদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, হাসপাতাল পরিচালনাসহ নানা সেবা দিচ্ছেন। আর সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় প্রধান কার্যালয় কলকাতা থেকে।

অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের ঘটনায় এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ। আর ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তা সম্পন্ন হলে একটি বিবৃতি দেবে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর