কঠোর আইনের বেড়াজালে বন্দি এল সালভাদরের নারীদের জীবন। হতাশ না হয়ে তারা সম্মিলিতভাবে নারীবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলও পেতে শুরু করেছে দেশটির নারীরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, গর্ভপাতের দায়ে কারাগারে বন্দি তিনজন নারীকে মুক্তি দিয়েছে এল সালভাদর কর্তৃপক্ষ।
ভ্রূণ অপসারণের অভিযোগে তাদের কারাগারে যেতে হয়েছিল।
যদিও দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন এসিডেট জানিয়েছে, অভিযুক্ত নারীদের ভ্রূণ অপসারণ করতে হয়েছিল গর্ভবতি থাকা অবস্থায় শারীরিক জটিলতার কারণে। এটি স্বেচ্ছায় ভ্রূণ অপসারণের কোনো ঘটনা ছিল না।
অভিযুক্ত তিন নারী কারেন ৬ বছর, কেথি ৮ বছর ও এভিলেন ১৩ বছর ধরে জেলে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার তারা মুক্তি পান। সেই সুবাদে অনেক দিন পর বড়দিনে পরিবারের সঙ্গেও মিলিত হতে পেরেছেন।
এল সালভাদর সব ধরনের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছে। দেশটিতে ভ্রূণ অপসারণকে হত্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর জন্য কঠোর বিচারিক শাস্তিও রয়েছে। অনেক নারীই গর্ভের জটিলতার কারণে গর্ভপাতের ঘটনা হয়ে যায়। ফলে তাদের জেলে যেতে হয়। এমনকি গর্ভপাতের ঘটনায় ৫০ বছরের জেল হতে পারে।
দেশটির বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠন এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের এই মুক্তিকে নারী অধিকার সংগঠনগুলো একটি বিজয় হিসেবে দেখছে।
এসিডেট জানিয়েছে, এই তিন নারীর মতো আরও ১৪ জন এখনো কারাগারে আটক রয়েছেন।
সংগঠনটির একজন সদস্য মোরেরা হিরিরা বলেন, ‘কারাবন্দি বাকিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’