পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা কমিয়ে আনল উভয় পক্ষ। ভবিষ্যতে যেকোনো সীমান্ত সমস্যা উভয়ের মতৈক্যে সমাধান করা হবে, এমনটাই জানা গেছে পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বরাতে।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে জানা যায়, উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা উভয় পক্ষের মতৈক্যের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
কোনো পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়নি ঠিক কোন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা পাকিস্তান ও আফগানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এর আগে বুধবার পাকিস্তান সেনারা সীমান্তে বেড়া নির্মাণের সময় তালেবান সেনাদের বাধার মুখে পড়ে। এমনকি তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীদের বেড়া নির্মাণ করতেও নিষেধ করে দেয়।
যেখানে ঘটনাটি ঘটে, সেই স্থানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
তালেবান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লাহ ইয়াকুব বুধবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ’ উত্তেজনা শান্ত উপায়েই প্রশমিত হয়েছে।‘
আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তে অবৈধ চোরাচালান ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা রয়েছে। তাই পাকিস্তান এই সীমান্তে স্থায়ী বেড়া দিতে চায়। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ বেড়া ও চেকপোস্ট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্প বাবদ পাকিস্তানকে ব্যয় করতে হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বেশ কয়েকবার সীমান্তসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উত্তেজনা তৈরি হয়। সংঘাত ও প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
তবে বর্তমান তালেবান সরকারকে পাকিস্তান মিত্র হিসেবেই বিবেচনা করে। ইসলামাবাদ প্রত্যাশা করে, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা তালেবানের সহযোগিতায় সমাধান হবে। কিন্তু তালেবান ১৯৯৬-২০০১-এ ক্ষমতায় থাকার সময়েও সীমান্তের সমস্যার সমাধান করেনি।
এমনকি তালেবান সংস্কৃতি ও তথ্যবিষয়ক মন্ত্রী জাবিউল্লাজ মুজাহিদও পাকিস্তানের সীমান্তে বেড়া নির্মাণের বিষয়টিরও বিরোধিতা করেন।