আগস্টে তালেবানগোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের পর অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে আফগানিস্তানে। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে খাদ্যাভাব ও মানবিক সংকটে পড়েছে দেশটি। ঠিক এমন সময়, বিশ্ব সম্প্রদায় আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য পাঠাতে একমত হয়েছে।
ফরাসি পত্রিকা ফ্রান্স ২৪-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, আফগানিস্তানে ত্রাণসহায়তা পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত সদস্যের সম্মতিসূচক ভোটে পাস হয়েছে।
শুরুতে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব তুলেছিল, দেশটির যে কমিটি আফগানিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দেখভাল করে, তারা অনুমোদন দিলে আফগানিস্তানে মানবিক ত্রাণসহায়তা পাঠানো যাবে।
চীন ও রাশিয়া ওই প্রস্তাবের ওপর ভেটো দিয়েছিল। তারপর সংশোধিত প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়।
ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনেও আফগানিস্তানে সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকও আফগানিস্তানে ২৮০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ সহায়তা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছিল। পাশাপাশি তালেবান সরকার আসার পর বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আফগানিস্তান থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল।
ফলে আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও বেতন দিতে পারছে না দেশটির সরকার। খাদ্য ক্রয়ের জন্য ঘরবাড়ির আসবাবও বিক্রি করে দিচ্ছে সাধারণ আফগানরা।