ছুটির মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে যাচ্ছে ক্ষুধার্ত ও ভুখা মানুষের সংখ্যা। দুই কোটি ১০ লাখের বেশি অধিবাসীর কাছে চলতি মাসের শুরুর দিকে যথেষ্ট পরিমাণে খাবার ছিল না। এমন তথ্য দিয়েছে দেশটির জনসংখ্যাবিষয়ক অধিদপ্তর (ইউএস সেনসাস ব্যুরো)।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারিকালীন ফেডারেল সরকারের দেয়া ত্রাণ সহায়তার মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়া ও মুদি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যসংকট দেখা গেছে।
শিশুদের জন্য দেয়া ঋণ সহায়তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া সহায়তার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে দেশটির আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে অচলাবস্থা এমন পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ছুটির মৌসুম চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনকে ঘিরে নানা আয়োজনের ঠিক আগে এমন খাদ্য সংকটকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিসেম্বর ১ থেকে ১৩ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশটির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বাসায় পর্যাপ্ত খাবার নেই। এটি গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত আগস্টে শিশুদের জন্য দেয়া ঋণ সহায়তার মেয়াদ শেষ হবার পর খাদ্যসংকট তীব্র হয়েছিল ১১ শতাংশ বাসায়।
গত বছরের এই সময়ের তুলনায় দেশটিতে মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে অন্তত ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। খাদ্য বিতরণকারী বেসরকারি ফুড ব্যাংকগুলোতে ক্ষুধার্ত মানুষের চাপ বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
শিশুদের জন্য দেয়া ঋণ সহায়তা প্রকল্পের আওতায় মা-বাবা তাদের ছয় বছরের নিচে প্রতি সন্তানের জন্য মাসে পেয়ে থাকেন ৩০০ ডলার আর ১৮ বছরের নিচে প্রত্যেক সন্তানের জন্য দেয়া সহায়তার পরিমাণ ২৫০ ডলার।
করোনাকালীন দেয়া এমন সব সহায়তার মেয়াদ ফুরিয়ে যায় চলতি মাসের ১৫ তারিখে।