বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরগির ছানাসদৃশ ডাইনোসরের ভ্রূণ আবিষ্কার

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:০৮

এই আবিষ্কারের ফলে আধুনিক পাখির সঙ্গে এখন ডাইনোসরের ভ্রূণের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্ভব হবে; যা পাখিদের বিবর্তনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে।

প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগের ভালোভাবে সংরক্ষিত ডায়নোসরের একটি ভ্রূণের জীবাশ্ম পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রাপ্ত জীবাশ্মের ভ্রূণটি কুঁকানো অবস্থানে ছিল; যা ডিম ফোটার কিছুক্ষণ আগে মুরগির ছানার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। মুরগি বা পাখির ছানার ডিম থেকে বেরিয়ে আসার এই পদ্ধতিকে বলে ‘টাকিং’।

এই আবিষ্কারের ফলে আধুনিক পাখির সঙ্গে এখন ডায়নোসরের ভ্রূণের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্ভব হবে; যা পাখিদের বিবর্তনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে।

আবিষ্কৃত ভ্রূণটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বেবি ইংলিয়াং’।

চীনের গানজু প্রদেশে পাওয়া ভ্রূণ জীবাশ্মটি দাঁতবিহীন থেরোপড বা ওভিরাপ্টোরোসরস ডায়নোসরের। ওভিরাপ্টোরোসরস বলতে সাধারণত ডিম চোর ডায়নোসরগুলোকে বোঝায়। এ প্রজাতির ডায়নোসরগুলো সাধারণত তিন মিটার (৬.৫-৯.৮ ফুট) লম্বা হয়ে থাকে। ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষ দিকে ১০০ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে বর্তমান এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় বসবাস করত।

ইউনিভার্সিটি অফ বাকিংহামের গবেষক ওয়েসম লি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ডায়নোসরের সব ভ্রূণের জীবাশ্মের মধ্যে এটিই সেরা।

এই জীবাশ্মটি ২০০০ সালে আবিষ্কার হয়। পরবর্তী সময়ে ১০ বছর এটি জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকে। জাদুঘরের সংস্কারকাজ শুরু হওয়ায় জীবাশ্মগুলো বাছাই করতে গেলে বিজ্ঞানীরা এর ভেতর ভ্রূণের সন্ধান পান।

ডায়নোসরের কিছু অংশ এখনও পাথর দ্বারা আবৃত আছে। বিজ্ঞানীরা জীবাশ্মের পুরো কঙ্কালের চিত্র পেতে আধুনিক স্ক্যানিং মেশিন ব্যবহার করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর