বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউরোপের হাসপাতালে বিপর্যয়ের শঙ্কায় ডব্লিউএইচও

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:৫৬

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। খুব শীঘ্রই নতুন আক্রান্তের ভিড়ে হাসপাতালগুলোতে চাপ সৃষ্টি হবে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হবে। অন্যান্য রোগীদের সেবা দেয়াও কঠিন হয়ে পড়বে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে ওমিক্রন ইস্যুতে ইউরোপের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। সংস্থাটির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ওমিক্রনের নতুন ঢেউ হাসপাতালগুলোকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক প্রধান হ্যান্স ক্লুজের মতে, করোনাভাইরাসের আরেকটি ঝড় আসছে। এখনই সংক্রমণ বৃদ্ধি মোকাবিলায় ইউরোপের দেশগুলোকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় বিপর্যয় নামবে হাসপাতালগুলোতে।

ক্লুজের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা এমন সময় এলো, যখন ইউরোপের অনেক দেশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পুনরায় নির্দেশনা জারি করেছে।

জার্মানি নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ জারি করেছে। বড়দিনের পর সামাজিক অনুষ্ঠান উদযাপনেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে দেশটি। ২৮ তারিখের পর যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০ জনের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবে না। ফুটবল খেলাগুলোও অনুষ্ঠিত হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।

পর্তুগাল ২৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির সকল নাইট ক্লাব ও বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটিতে নতুন করে কোন বিধিনিষেধ আরোপ করবে না বলে জানিয়েছে। তবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সুইডেনে ক্যাফে ও বারে লোক সমাগম কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পেশাজীবীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। এখন ওমিক্রন পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে।

ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৩ টি দেশের মধ্যে ৩৮ টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এর মাঝে রাশিয়া ও তুরস্কও রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। খুব শীঘ্রই নতুন আক্রান্তের ভিড়ে হাসপাতালগুলোতে চাপ সৃষ্টি হবে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হবে। অন্যান্য রোগীদের সেবা দেয়াও কঠিন হয়ে পড়বে। ইউরোপে ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮ কোটি ৯০ লাখ এবং মারা গিয়েছে ১৫ লাখ।

এ বিভাগের আরো খবর