নাগরিকদের করোনা প্রতিরোধী টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে তৃতীয় ডোজের পর আরও একটি বুস্টার ডোজ দিতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় দেশটির মহামারি বিশেষজ্ঞরা ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের বুস্টার ডোজ হিসেবে চতুর্থ ডোজটি দেয়ার সুপারিশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শিগগিরই প্রকল্প চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দেশটিতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল আবিব সরকার।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে অন্তত ৩৪০ জনের শরীরে।
প্রধানমন্ত্রী বেনেটের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, টিকার তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) নেয়ার পর চতুর্থ মাসে চতুর্থ ডোজ নিতে পারবেন নির্ধারিত নাগরিকরা।
চতুর্থ ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্তটি দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইসরায়েলে ১৯ ডিসেম্বর থেকে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়। টিকা দেয়ার দৌঁড়ে বিশ্বে এগিয়ে রয়েছে দেশটি। ৯ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত টিকার দুই ডোজ নেয়া সম্পন্ন করেছে ৬৩ শতাংশ মানুষ।
ইসরায়েলের এক তৃতীয়াংশ নাগরিকের বয়স ১৪ বছরের কম যারা এই টিকা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে।
দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবার পর দিনে গড়ে টিকা দেয়া হয় দেড় লাখ মানুষকে। এক্ষেত্রে বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জটিল রোগে আক্রান্তরা অগ্রাধিকার পান।
মহামারি শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবিত ফাইজারের টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল ইসরায়েল সরকার।