বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বোনকে বাঁচানো ভাইয়ের দেখা পেলেন স্পাইডারম্যান

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:১৩

স্পাইডারম্যান খ্যাত তারকা অভিনেতা টম হল্যান্ড সম্প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ব্রিজার ওয়াকারকে। এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই রোববার স্পাইডারম্যান সিরিজের ‘নো ওয়ে হোম’-এর সেটে বাবা রবার্টকে নিয়ে হাজির হন ব্রিজার।

সাত বছর বয়সী ব্রিজার ওয়াকারকে বলা হচ্ছে তারকাদের তারকা। গত বছর অসম সাহসিকতায় নিজের বোনকে বাঁচিয়ে বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হন তিনি।

সত্যিকারের এই নায়কের দেখা পেতে স্পাইডারম্যান সিরিজের ‘নো ওয়ে হোম’-এর সেটে সম্প্রতি অধীর হয়ে বসেছিলেন তারকা অভিনেতা টম হল্যান্ড। অবশেষে হলোও দেখা।

মঙ্গলবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে। স্পাইডারম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করা টম হল্যান্ড সম্প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ব্রিজার ওয়াকারকে। এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই রোববার স্পাইডারম্যান সিরিজের ‘নো ওয়ে হোম’-এর সেটে বাবা রবার্টকে নিয়ে হাজির হন ব্রিজার।

পরে বাস্তব ও পর্দার দুই তারকার সাক্ষাতের কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ব্রিজারের বাবা রবার্ট ওয়াকার।

দ্য পিপল-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে নিজের বোনকে বাঁচানোর জন্য একটি জার্মান শেফার্ডের সঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলেন ৬ বছর বয়সী ব্রিজার। বোনকে অক্ষত রাখলেও শেফার্ডের আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার মুখমণ্ডল। পরে তার মুখে ৯০টি সেলাই লাগে।

আহত ব্রিজারের ছবিসহ তার বীরত্বের ঘটনাটি জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন ফুফু নিকি ওয়াকার। তার এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেলে সারা পৃথিবী জেনে যায় ব্রিজারের বীরত্বের কাহিনি।

তার প্রশংসা করেন ক্যাপ্টেন আমেরিকা খ্যাত হলিউড তারকা ক্রিস ইভান্স। শুধু তাই নয়, দ্য হাল্কের ভূমিকায় অভিনয় করা মার্ক রুফেলো, ক্যাপ্টেন মারভেলের ভূমিকায় অভিনয় করা ব্রি লারসনও ব্রিজারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। ৬ বছর বয়সী ব্রিজারকে সত্যিকারের নায়ক আখ্যা দেন তারা।

তারকারা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য সাধারণ মানুষও তার জন্য উপহার আর শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠানো শুরু করে।

তার মুখের ক্ষত সারানোর জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক নিজ খরচে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইমিং অঙ্গরাজ্য থেকে নিউ ইয়র্কে উড়িয়ে নিয়ে যান। চিকিৎসা দেন বিনা মূল্যে। দীর্ঘ ও জটিল সেই চিকিৎসা এখনও অব্যাহত আছে।

বোনকে বাঁচানো সেই মুহূর্তটির কথা স্মরণ করে ব্রিজার বলেন, ‘সে সময় মনে হয়েছিল- যদি কাউকে মরতে হয়, তবে আমারই মরা উচিত।’

শুভাকাঙ্ক্ষীর পাঠানো উপহার হাতে ব্রিজার ও তার বোন

ব্রিজারের মুখে এখনও সেই ক্ষতের চিহ্ন রয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তার বাবা রবার্ট ওয়াকার একদিন তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কি চাও এই দাগগুলো সরে যাক?’

উত্তরে ব্রিজার বলেছিল, ‘আমি চাই না এই দাগ পুরোপুরি সরে যাক।’

বাবা রবার্ট জানান, মুখের সেই দাগকে গর্বের চিহ্ন হিসেবে মনে করে ব্রিজার। তবে এটাকে সে কখনোই তার বীরত্বের চিহ্ন হিসেবে মানতে রাজি নয়। এ জন্য তাকে কেউ নায়ক বলুক, এমনটিও চায় না সে। এ বিষয়ে তার উপলব্ধি হলো- ‘আমি একজন ভাই ছিলাম। আর ভাইয়েরা এটাই করে থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর