বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেলানিয়া ট্রাম্পের চোখের ছবি নিলামে

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:০৫

১৬ ডিসেম্বর ‘মেলানিয়াস ভিশন’ এই এনএফটির নিলাম শুরু হয়েছে ১৫০ ইউএস ডলারে। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে নিলাম। সাধারণত এ ধরনের নিলামে ইথেরিয়াম চেইন ব্যবহার করা হলেও মেলানিয়া ব্যবহার করছেন সোলানা ব্লকচেইন।

আমেরিকার সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এনএফটি মার্কেট প্লেসে প্রবেশ করেছেন। তিনি নিজেই একটি ভেঞ্চার শুরু করেছেন।

মেলানিয়া জানিয়েছেন, শিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং শিশুদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন। এনএফটি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মতো স্কিল শেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।

আর্টনেটের প্রতিবেদনে জানা যায়, মেলানিয়া ইতোমধ্যে একটি এনএফটি নিলামে তুলেছেন। ওয়াটার কালারে আঁকা তার চোখের ছবিটির নাম ‘মেলানিয়াস ভিশন’। এটি এঁকেছেন ফরাসি ডিজিটাল আর্টিস্ট মার্ক এন্টনি কৌলন।এই চিত্রকলার এনএফটি ভার্সনে মেলানিয়ার কণ্ঠস্বরে একটি বার্তাও দেয়া হয়েছে। এই বার্তায় মেলানিয়া বলেন, ‘আমার দর্শন হলো, অনুপ্রেরণা, শক্তি ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাও।‘

১৬ ডিসেম্বর ‘মেলানিয়াস ভিশন’ এই এনএফটির নিলাম শুরু হয় ১৫০ ইউএস ডলারে। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে নিলাম। সাধারণত এ ধরনের নিলামে ইথেরিয়াম চেইন ব্যবহার করা হলেও মেলানিয়া ব্যবহার করছেন সোলানা ব্লকচেইন। একমাত্র সোলানাতেই তার এনএফটি কেনা সম্ভব।

কারও সোলানা না থাকলে ডলারে সোলানা কেনার অপশনও মেলানিয়ার ওয়েব প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা হয়েছে। সোলানা একটি নেটিভ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্ম। নিলামটি শুরুর সময় সোলানার দাম ছিল ১৭৫ ডলার, তবে এখন এর দাম পৌঁছেছে ১৮৬ ডলারে।

সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য ক্রিপ্টোর দাম নিম্নমুখী হলেও সোলানা ঊর্ধ্বমুখী। কয়েন মার্কেট ক্যাপের মতে, রোববার বেলা ৩টার আগের ২৪ ঘণ্টায় সোলানার দাম বেড়েছে ৭.৩৪ শতাংশ। মেলানিয়ার নিলামে সোলানার ব্যবহারই এর কারণ কি না- তা স্পষ্ট নয়। আগে দেখা গেছে, বিভিন্ন সেলিব্রেটি, ইনফ্লুয়েন্সিয়ালদের কর্মকাণ্ড ক্রিপ্টো মার্কেটে প্রভাব রাখে। ডজকয়েনের দাম বৃদ্ধিতে ইলন মাস্কের টুইটের অবদান দেখা গেছে।

সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প আরও এনএফটি প্রকল্প ও অন্যান্য শিল্পকর্ম জানুয়ারি থেকে নিয়মিত নিলামে তুলবেন। এ থেকে পাওয়া অর্থ শিশুদের প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে ব্যয় হবে।

এনএফটি এখনও অনেকের কাছে বেশ আশ্চর্যের বিষয়। কী করে একটি এনএফটির দাম মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়- তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল আর্টিস্ট মাইক উইঙ্কল ম্যানের ‘দ্য ফার্স্ট ফাইভ থাউজেন্ড ডেজ’ নামের এনএফটি প্রকল্প ৬৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

অনেকের ধারণা, এনএফটিতে কেবল শিল্পকর্মই বিক্রি হয়। তবে এটি ঠিক নয়। টুইটার সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি তার প্রথম টুইটটি এনএফটি হিসেবে নিলামে তোলেন। পরে যার দাম ওঠে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এমনকি উইকিপিডিয়ার সর্বপ্রথম তৈরি করা পেজও নিলামে তোলা হয়েছে।

এনএফটি কী?

এনএফটির পূর্ণরূপ ‘নন ফাঞ্জিবল টোকেন’। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে ইমিউটেবল লেজারে যুক্ত হওয়ায় এনএফটি যেকোনো ডিজিটাল অ্যাসেটের ওপর একজন ব্যক্তির নিরঙ্কুশ মালিকানা দেয়। ইমিউটেবল লেজার বলতে বোঝায় অপরিবর্তনীয় লেজার। এতে কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটানো প্রায় অসম্ভব। এই পদ্ধতিতে ডিজিটাল আর্টকে কপি করা অসম্ভব হয়ে যায়। আপনি অবশ্যই কোনো কিছু নকল করতে পারেন, তবে সেটি আর যাই হোক, পুরোপুরি আগেরটির মতো হবে না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির দ্য লাস্ট সাপারের হুবহু নকল একটি ছবি কেনা যেতে পারে। তবে তা আর যা-ই হোক, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মূল ছবিটি হবে না। সত্যিকার দ্য লাস্ট সাপারের দামও নকলের সমান হবে না। ঠিক তেমনি যখন একটি ডিজিটাল আর্টকে এনএফটি করা হয়, তখন সেটি একটি টোকেনে কনভার্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ডিজিটাল আর্টে যদি এক মেগাপিক্সেলও পরিবর্তন করা হয়ে থাকে, সেটির টোকেন বদলে যাবে। কখনোই তা আগেরটির সঙ্গে মিলবে না।

এনএফটি হচ্ছে একটি দলিলের মতো। এটি ডিজিটাল দুনিয়ার যেকোনো কনটেন্টের ওপর ব্যক্তির মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করে। ভিঞ্চির আঁকা ছবি নিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারে, কিন্তু এনএফটি নিয়ে জালিয়াতি অসম্ভব। এককথায় এনএফটি হলো এমন একটি সম্পদ, যা ডিজিটাল দুনিয়ায় একটিই আছে। এটি অন্যান্য সম্পদের মতোই কেনাবেচা করা সম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর